বিশ্লেষকরা মনে করছেন মোবাইল ব্যবসায় চলমান লোকসান এবং মৌসুমে অন্যান্য পণ্যের দূর্বল বিক্রির কারণে এলজি এই লোকসানের মুখে পড়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ প্রান্তিকে সম্ভবত লোকসানের পরিমাণ প্রায় তিন কোটি মার্কিন ডলার।
এর আগে ২০১০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে এলজি। বর্তমান বিশ্বে টেলিভিশন তৈরিতে আরেক দক্ষিণ কোরীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের পরেই অবস্থান করছে এলজি।
এলজি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই প্রান্তিকে আয় ১.৫ শতাংশ বেড়ে ১৪৮০০০০ কোটি ওন-এ দাঁড়িয়েছে। তবে, আয়ের বিস্তারিত প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। জানুয়ারির শেষ দিকে আলাদা আলাদা ব্যবসায়ের পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করবে এলজি।
২০১৬ এর অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগের তিন মাসের দূর্বল আয়ের কারণে চতুর্থ প্রান্তিকের লাভ কমতে পারে। অনেক বিশ্লেষকই ধারণা করছেন স্মার্টফোন ব্যবসায় চলমান লোকসানের কারণেই এ প্রান্তিকে বড় লোকসানে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়া বছর শেষের ছুটির মৌসুমে প্রচারণা খরচ বেড়ে যাওয়াটাও এই লোকসানের কারণ হতে পারে। শুক্রবার দিন শেষে শেয়ার মূল্য ১.৯ শতাংশ কমেছে এলজি’র।
এদিকে আগের প্রান্তিকের ব্যর্থতা ভুলে সিইএস ২০১৭-তে বেশ কিছু নতুন পণ্য নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্সাচালিত রেফ্রিজারেটর এনেছে এলজি। মুখে বললেই গান ছেড়ে দেবে বা পণ্য কিনবে এই রেফ্রিজারেটর।