ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে মনযোগ বাড়ছে গুগলের

দ্রুতই ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে মনযোগী হয়ে উঠছে মার্কিন সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল। বরাবরই সফটওয়্যারের জন্য জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোনসহ বেশ কিছু হার্ডওয়্যারও বাজারে আনছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2017, 11:06 AM
Updated : 6 Jan 2017, 11:06 AM

হার্ডওয়্যার ব্যবসায় প্রবেশ করলেও সফটওয়্যার থেকে মনযোগ সরেনি গুগলের। আর তাই সামনের দিনগুলোতে ভিআর এবং এআর প্রযুক্তি নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের হার্ডওয়্যার অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ডিভাইসে গুগলের ভিআর ব্যবহার করায় এই খাতে দ্রুত উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজিউমার ইলেক্ট্রনিকস শো ২০১৭-তে গুগলের এসব অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এই প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কিছু ডিভাইসের ঘোষণা দিয়েছে।

সিইএস ২০১৭-তে গুগলের ডেড্রিম ভিআর হেডসেট সমর্থন করে এমন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে তাওয়ানিজ ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আসুসটেক। আগের বছর এই ভিআর হেডসেটটি উন্মোচন করে গুগল। আসুস-এর তৈরি ‘জেনফোন এআর’ শুধু ডেড্রিম নয় গুগলের ট্যাঙ্গো সফটওয়্যার প্রযুক্তিও সমর্থন করে, জানিয়েছে রয়টার্স।

গুগলের অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) সফটওয়্যার ট্যাঙ্গো কম্পিউটারের মাধ্যমে ধারণ করা বস্তুকে বাস্তব জগতে প্রতিফলন করতে পারে। অর্থাৎ ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা বস্তু ব্যবহারকারী তার পছন্দ মতো স্থানে ৩ডি ছবি দেখতে পারবেন।

শুধু আসুস-ই নয় চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ঘোষণা দিয়েছে শীঘ্রই তাদের দুইটি স্মার্টফোনে ডেড্রিম হেডসেট ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে আসুসই প্রথম প্রতিষ্ঠান যার স্মার্টফোনে গুগলের ডেড্রিম এবং ট্যাঙ্গো উভয় প্রযুক্তিই রয়েছে।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তিগুলোতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও সবচেয়ে বড় অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন নির্মাতা দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এই প্রযুক্তিতে এখন পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি জানান দেয়নি।

এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান জ্যাকডো রিসার্চ-এর বিশ্লেষক জ্যান ডসন জানান, এই প্রযুক্তিতে বড় ধরনের সাড়া জাগাতে এখনও গুগলকে বেশ কিছু দূর এগোতে হবে।

“এআর এবং ভিআর উভয় প্রযুক্তিরই একদম শুরুর পর্যায়ে রয়েছে গুগল,” বলেন ডসন।

বর্তমানে স্মার্টফোন বাজার কিছুতা ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এবার এই খাতে ভিআর এবং এআর প্রযুক্তি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।