বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ পণ্যের বাজারে শীর্ষস্থানের জন্য সুইডিশ এরিকসন-এর সঙ্গে প্রতদ্বন্দীতায় থাকা চীনা প্রতিষ্ঠানটি তাদের ২০১৬ সালের মোট আয় ৫২ হাজার কোটি ইউয়ান হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চলতি প্রধান নির্বাহী এরিক জু।
হুয়াওয়ে-তে ছয় মাস পরপর তিন ডেপুটি চেয়ারম্যানের মধ্যে প্রধান নির্বাহী পদ আবর্তিত হয়।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রবৃদ্ধির হার ৩৫ শতাংশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিল।
“২০১৭ সালে আমরা আরও বেশি বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হব”- নতুন বছরের আগমন নিয়ে কর্মীদের পাঠানো এক বার্তায় জু এমনটা বলেন। ওই বার্তার একটি কপি রয়টার্স-এর নজরে এসেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
২০১৪ সালের শুরুতে ২০১৮ সালের মধ্যে মোট সাত হাজার কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৫ সালে প্রথম চীনা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১০ কোটির বেশি স্মার্টফোন বিক্রি করে হুয়াওয়ে। এর ফলে সে বছর তাদের মোট লাভ আগের বছরের ২৭৯০ কোটি ইউয়ান থেকে ৩২ শতাংশ বেড়ে ৩৬৯০ কোটি ইউয়ান হয়ে যায়।
এর আগে নভেম্বরে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মার্কিন স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপল ৩৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্যামসাংয়ের শেয়ার ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে’র শেয়ার ০.৫ শতাংশেরও নিচে। কিন্তু বিশ্ববাজারে চিত্রটা পুরোই ভিন্ন। সে ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানটা স্যামসাংয়ের দখলে, তাদের শেয়ার ২২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপলের ১৩ শতাংশ আর হুয়াওয়ে’র ৯.৪ শতাংশ।