বিবিসি জানায়, এই ঘটনায় বাথটাবে পুলিশ যে লাশের সন্ধান পায় তার খুব কাছেই ছিল অ্যামাজনের ইকো। ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে জানা যায় আম্যাজনের কাছে দুইটি অনুসন্ধানের পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। ইকো স্পিকারের মাধ্যমে অ্যামাজন সার্ভারে তথ্য পাঠানো হলেও তা দিতে নাকচ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একজন গোয়েন্দা নিজে থেকেই স্পিকারটি থেকে কিছু তথ্য বের করার উপায় বের করেছেন। এই খুনের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার এখনও বাকি। আর এটিও এখনও স্পষ্ট নয় যে স্পিকারটির তথ্য তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিনা।
বিবিসি-কে মামলা পরিচালনাকারী নাথান স্মিথ জানিয়েছেন, তিনি এখনও আশাবাদী যে, অ্যামাজন আরও বিস্তারিত তথ্য দেবে।
তিনি বলেন, “প্রযুক্তি জড়িত থাকায় অনেক ব্যক্তিগত উকিলই এই মামলায় তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই মামলাটি আসলে ভোক্তার জন্য ন্যায়বিচার খোঁজা, যিনি ছিলেন একজন স্বামী এবং একজন বাবা।”
২০১৫ সালের নভেম্বরে মামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি জেমস বেটস আরকানসাস-এর বেটনভিল পুলিশ বিভাগকে জানান তিনি তার বন্ধু ভিক্টর কলিন্স-এর লাশ পেয়েছেন। তিনি উপুড় হয়ে পানির মধ্যে পড়ে ছিলেন।
অ্যামাজনেরর ‘ইকো’ ডিভাইসটি ‘অলওয়েজ অন’ বা সার্বক্ষণিক কার্যকর প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি ডিভাইসটি জেগে ওঠার কমান্ড শোনার এক মুহুর্ত আগে থেকেই রেকর্ড করা শুরু করে। পরে তা প্রক্রিয়াকরণ করতে অ্যামাজন সার্ভার কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়।
অন্য সময়ে ডিভাইসটি রেকর্ড না করলেও যেকোনো কথা শুনলেই এটি সজাগ হয়ে ওঠে। সেখানে যথাযথ কমান্ড না পেলে তা রেকর্ড করা হয় না।
তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে অ্যামাজনের এক মুখপাত্র বিবিসি-কে বলেন, “আমাদেরকের বৈধ চাহিদা পত্র প্রদান করা না হলে অ্যামাজন গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করবে না।”
বেটনভিল-এর পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে তারা কলিন্স-এর এলজি স্মার্টফোন থেকেও তথ্য বের করতে পেরেছেন।