বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, ‘ইনোভেটরস হাব’-এর অংশ হিসাবে দেশের বিভাগীয় শহরের মধ্যে প্রথমবারের মত চট্রগ্রামে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পণ্যগুলো দিন দিন ইন্টারনেট সংযগের আওতায় আসছে, প্রযুক্তির এই ধারণাকে বলা হয় ‘ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি)’। এই ইভেন্টের আয়োজকদের মতে, ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো থেকে উৎপাদিত ডেটা বিশ্লেষণের চাহিদাও বাড়ছে সমান তালে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী সেবা সরবরাহে নতুন আইওটি এখন সম্ভাবনার নতুন দ্বারের সৃষ্টি করছে। সে সঙ্গে বাজার বিশ্লেষণা, স্টার্টআপ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কৌশল বিশ্লেষণায় বিগ ডেটার ব্যবহার জরুরি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্রগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। বক্তা ছিলেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হানিফ সিদ্দিকি, চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউল হকসহ আরও কয়েকজন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু।
মাহবুবুল আলম বলেন, “উদ্যোক্তা থেকেই ভালো কিছু করা সম্ভব। একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে জীবনে অনেক হোঁচট খেতে হতে পারে। তাই বলে পিছিয়ে আসলে হবে না। সবকিছুকে অতিক্রম করেই সাফল্যের দেখা মিলবে।”
ড. হানিফ সিদ্দিকি বলেন, “এমন দিন বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষের সহযোগিতায় মেশিন যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে।” তিনি আগামীর ইন্ডাস্ট্রি-৪ এর কথা বর্ণনা করে বলেন, “ইন্ডাস্ট্রি-৪ হল এমন কিছু যা সবসময় কাস্টমার সেইফটি-এর কথা ভাববে। কাস্টমার যেভাবে চাইবে, সেভাবে সে ব্যবহার অথবা পরিচালনা করতে পারবে।”
দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তার ক্রমবর্ধমান বিকাশেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আরিফুল হাসান অপু।