নোকিয়া’র উইথিংস-এর পণ্য বেচবে না অ্যাপল

ফিনিশ স্মার্টফোন নির্মাতা নোকিয়ার সঙ্গে পেটেন্ট সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন উইথিংস-এর কোনো পণ্য অ্যাপল আর বেচবেনা বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট রিকোড।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2016, 10:51 AM
Updated : 25 Dec 2016, 10:51 AM

দুই বছর ধরে একটি খুচরা জোটের অংশ হিসেবে ফ্রান্সভিত্তিক ইলেকট্রনিকস প্রতিষ্ঠান উইথিংসের আইওএস-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু পণ্য অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যেত, এগুলোর মধ্যে অধিকাংশই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত। এমনকি চলতি বছরের এপ্রিলে নোকিয়া ১৯ কোটি ডলারের বিনিময়ে ফিনিশ প্রতিষ্ঠানটিকে অধিগ্রহণের পরও এই বিক্রি অব্যাহত ছিল। উইথিংসকে নোকিয়ার ডিজিটাল হেলথ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এর আগে বুধবার ৩২টি পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে অ্যাপলের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করার কথা জানায় এক সময় মোবাইল ফোন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করা প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার নোকিয়া আরও জানায়, তারা ১১টি দেশে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মোট ৪০ টি পেটেন্ট মামলা করেছে।

প্রতিষ্ঠান দুইটির মধ্যে এই ধরনের বিরোধ এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অবশেষে ২০১১ সালে অ্যাপল নোকিয়ার পেটেন্ট লাইসেন্স দিতে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করে।

এই মামলার পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবেই হয়ত অ্যাপলের এই পদক্ষেপ, এমনটাই ভাবছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

একদিকে নোকিয়ার অভিযোগ অ্যাপল নতুন লাইসেন্স গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে, আর অন্যদিকে অ্যাপল বলছে নোকিয়া ন্যায্য শর্তে পেটেন্ট লাইসেন্স প্রদান করছে না। 

এক বিবৃতিতে অ্যাপল রিকোডকে বলে, “আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানকে সম্মান করি এবং আমরা সর্বদাই আমাদের পণ্য সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির পেটেন্টের অধিকার নিশ্চিত করতে ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করতে ইচ্ছুক”। “দূর্ভাগ্যবশত, নোকিয়া ন্যায্যভাবে তাদের পেটেন্ট লাইসেন্স করানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন তারা অ্যাপলের নিজস্ব উদ্ভাবন যেখানে তাদের কিছুই করা নেই এমন খাতে হওয়া আয়ের হার ধার্য করে অ্যাপলের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিতে পেটেন্ট কৌশল ব্যবহার করছে”-বলা হয় অ্যাপলের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে নোকিয়া জানিয়েছে, তারা শুধু অ্যাপল কর্তৃক তাদের পেটেন্ট-এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে চলা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।