নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করা নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোবাইল ফোন টয়লেট আসনের চেয়ে বেশি জীবাণু ধারণ করে। এই সমস্যা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছতে পারে, কারণ খুব কম ব্যবহারকারীই টয়লেট ব্যবহারের পর তাদের ফোন মুছে নিতে অভ্যস্ত।
এ পর্যন্ত বিমানবন্দরে সাত টয়লেটে এমন ৮৬ কিউবিক 'স্মার্টফোনের জন্য টয়লেট পেপার' সুবিধা যোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। এই কাগজের রোলকে স্বাভাবিক টয়লেট পেপারের একটি ছোট সংস্করণই বলা যায়। টেলিযোগাযোগ জায়ান্ট এনটিটি ডোকোমো এটি ইনস্টল করছে নলে জানানো হয়।
এই পেপার ফোনকে জীবাণুমুক্ত করবে। কেবল তাই নয়, এতে ইংরেজিতে ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড আর ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্যও প্রিন্ট করা থাকছে। বাইরের দেশ থেকে জাপানে আসা পর্যটকরা ওয়াই- ফাই সংযোগ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হন বলে জানা যায় দেশের পর্যটন সংস্থা করা এক জরিপ থেকে। তাই তাদের জন্য এই সুবিধা বেশ কার্যকর হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপান প্রতিনিয়তই জনসাধারণের ব্যবহারের শৌচাগারগুলোতে প্রযুক্তি বিষয়ক সুবিধা যোগ করছে। দেশটির অধিকাংশ শৌচাগারে উষ্ণ বসার স্থান আর পর্যাপ্ত পানি আর বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বিশেষ গ্যাজেটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে যা ফ্ল্যাশ বা মিউজিক বাজিয়ে ব্যবহারকারীর সৃষ্ট অস্বস্থিকর শব্দ ঢেকে রাখবে। তাছাড়া সাম্প্রতিক মডেলে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যা টয়লেটের অবাঞ্ছিত গন্ধ দূর করবে।
এক জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানের প্রায় ৭৬ শতাংশ বাড়িতেই নানারকম সুবিধাওয়ালা টয়লেট আসন রয়েছে।