এ দিন ওয়েবভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রার মূল্য পাঁচ শতাংশ বেড়ে শেষ তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসে।
ইউরোপভিত্তিক বিটকয়েন বিনিময় প্রতিষ্ঠান বিটস্ট্যাপ-এ প্রতি বিটকয়েনের মূল্য ৮৭৫ ডলার হয়ে যায়, যা ২০১৪ সালের জানুয়ারির পর রেকর্ড। চলতি বছরের শুরুতে অংকটা ৪৩৫ ডলার ছিল, সে হিসেবে এই বছরই দামটা দ্বিগুণ হল বলা চলে। ডেটা থেকে দেখা যায়, অধিকাংশ বিটকয়েনের লেনদেনই চীনে হয়েছে।
ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকম্পেয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা চার্লস হেয়টার জানান, বৈশ্বিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আর ভারতে বড় অংকের কাগুজে নোট বাতিল বিটকয়েনের মূল্য বাড়তে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, “যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, নিরাপত্তার দিকে যাত্রা হিসাবে আমাদের বৈশ্বিক নিয়ম ভাঙতে বিটকয়েন বিশেষ ভূমিকাপালনকারী।”
বিশ্বব্যাপী দ্রুত ও পরিচয় প্রকাশ না করে লেনদেনে অর্থের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই ভার্চুয়াল মুদ্রা। এ ক্ষেত্রে লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজন হয় না কোনো কেন্দ্রীয় অনুমোদনের। চলতি বছর এর ব্যবহার ৮০ শতাংশ বেড়েছে, ২০১৫ সালে এই হারটা ছিল ৩৫ শতাংশ।
চলতি বছর ৮ নভেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশটি থেকে পাঁচশ ও এক হাজার রুপির নোট তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। দেশটিতে থাকা এই নোটগুলোর মোট মূল্য ২৫৬০০ কোটি ডলারের সমান। এই নোটগুলো দূর্নীতি বাড়াচ্ছিল, জাল হচ্ছিল এমনকি ভারতকে লক্ষ্য করে রাখা সন্ত্রাসীগোষ্ঠীদের আক্রমণেও ব্যবহৃত হচ্ছিল বলে জানান তিনি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মূল্য দ্রুত পরিবর্তনশীল। ২০১৩ সালে প্রতি বিটকয়েনের মূল্য ১১০০ ডলার হয়ে গিয়েছিল। আবার ২০১৫ সালের শুরুতে এর দাম হয়ে যায় দেড়শ’ ডলার। শেষ ছয় মাস ধরে এই দাম পাঁচশ’ ডলারের উপরে অবস্থান করছে।