তুরস্কে টর বন্ধ

পরিচয় গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের নেটওয়ার্ক টর-এ সরাসরি অ্যাকসেস বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2016, 11:10 AM
Updated : 20 Dec 2016, 11:10 AM

ইন্টারনেট সেন্সরশিপের বিষয়ে বৃহত্তর কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

মূলত চলতি বছর নভেম্বরে এই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে তুরস্ক। সে সময় দেশটির ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান  বা আইএসপিগুলোকে অবস্থান গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে ব্যবহৃত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন সেবা বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছিল। এ ছাড়া তাদের নিয়মিত বিরতিতে ভিপিএন ও টর বন্ধে ঠিক কী পরিমাণ অগ্রগতি হয়েছে তার প্রতিবেদন প্রদানেরও নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে সে দেশের লোকেরা এখন ব্লক এড়াতে টর ব্রাউজারে সংযুক্ত হওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে তুরস্কের নেট সেন্সরশিপ নীতি ‘মধ্যপন্থী’ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘গুরুতর’ পর্যায়ে চলে গেছে বলেই মত প্রচারণাকর্মীদের।

'টার্কি ব্লকস' নামের দেশটির একটি ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক দল জানায়, টরের উপর তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে তারা দেখেছে দেশজুড়ে এর উপর ব্যাপক অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। বেশ কিছু ব্যবহারকারীর নিকট হতে এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে বলেও জানায়। তারা আরও জনায়, তুর্কি সরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ কখন এবং কোন স্থান থেকে টর ব্যবহার করছে তা নির্ণয় করারও চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও অনেকেই নেটওয়ার্ক ব্রিজ ব্যবহার করে টর ব্যবহার করতে পারার কথা জানিয়েছেন।

ওয়েবসাইট এবং পরিসেবা অ্যাকসেসগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা তুরস্কের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়গুলোতে দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

টর, যা ওনিয়ন রাউটার হিসেবেও পরিচিত মূলত পরিচয় গোপন রেখে অনলাইনে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে। এটি এনক্রিপশন ব্যবহার করে ও এলোমেলোভাবে আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করে থাকে যার ফলে ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে পরে। চীন ও তুরস্কের মতো যেসব দেশে সরকার জনগন অনলাইনে কী করে ও বলে তার উপর নজরদারি করে সে সব দেশে এটি জনপ্রিয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।