‘ফেইসবুকের ভুয়া খবর আদালতে ওঠা উচিৎ’

ফেইসবুকের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া সংবাদের বিরুদ্ধে জার্মান বিচারক ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণকরা উচিৎ বলে রোববার এক সাক্ষাৎকারে মত দিয়েছেন জার্মানির বিচার মন্ত্রী হেইকো মাস।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2016, 02:28 PM
Updated : 19 Dec 2016, 02:28 PM

রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল-এর জোটের সোশাল ডেমোক্র্যাট সদস্য মাস অনেকদিন ধরেই মার্কিন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটটিকে জার্মানিতে প্রচলিত মানহানিবিষয়ক আইনকানুন সঠিকভাবে মেনে চলতে সতর্ক করে আসছেন ,যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেকটাই দৃঢ়। সে দেশের বিল্ড এম সোনটাগ সংবাদপত্রকে তিনি জানান, কথা বলার স্বাধীনতা আর মিথ্যা অপবাদ রটানো এক জিনিস নয়।

“মানহানি এবং বিদ্বেষপূর্ণ পরচর্চা বাকস্বাধীনতার আওতাভুক্ত নয়”-বলেন মাস। অন্য শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক ফেইসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা প্রচারিত ‘ঘৃণামুলক বক্তব্য’ এবং ভুয়া সংবাদ মোকাবেলায় আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ঘোষণার কয়েকদিনের মাথায় সাক্ষাৎকারে এই কথা জানালেন মাস।

মাস বলেন, “বিচার কর্তৃপক্ষের এটিকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিৎ, এমনকি ইন্টারনেটের উপরও”। তিনি এও উল্লেখ করেন যে, অপরাধীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যারা রাজনৈতিক আলোচনার সঙ্গে মিথ্যার সংমিশ্রণ ঘটাবে তাদের পরিণতি সম্পর্কেও সচেতন থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সদ্য অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলে ফেইসবুকের ভুয়া খবর বেশ প্রভাব ফেলছে বলে সমালোচনা হয়েছে। তাই জার্মানির নির্বাচনকে সামনে রেখে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে দেশটি।

তিনি আরও বলেন, “ভুয়া সংবাদ দিয়ে ফেইসবুক প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করছে।” জার্মান সংবাদপত্রটিকে তিনি বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠান যা ইন্টারনেট থেকে কোটি কোটি অর্থ আয় করে তাদের কিছু সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। যে কোনো মানহানিকর বক্তব্য অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলতে হবে। আর ব্যবহারকারীদের জন্য ভুয়া সংবাদ অভিযোগের নিয়ম আরও সহজ করা প্রয়োজন।”

ফেইসবুক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তাদের বার্লিন অফিসে শত শত ঠিকাদার পোস্ট যাচাই করে দেখছেন। কিন্তু সেখানকার সদস্যরা অসঙ্গত নিয়ম এবং বেশি কাজের অভিযোগ করেছেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।