ক্ষমতা হস্তান্তরে ট্রাম্পের সহায়ক দলের এক মুখপাত্র রয়টার্স-কে জানান, টুইটার এখনও অনেক ‘ছোট’।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে টুইটার বেশ ভালোভাবেই ব্যবহার করে আসছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সাইবার নিরাপত্তা আর অনলাইনে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর প্রজ্ঞাপন বন্ধে নীতিমালা নিয়ে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থরা। এর মধ্যে এমন ঘটনা প্রযুক্তি খাতের অনেককেই অবাক করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কারণ তারা অতটা বড় নয়।” ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ১৩৮৫ কোটি ডলার বাজারমূল্য নিয়ে টুইটার আসলেই ছোট। বৈঠকে অংশ নেওয়া সবচেয়ে ছোট প্রতিষ্ঠান ছিল বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, যাদের বাজারমূল্য ৩১৯২ কোটি ডলার।
লাখ লাখ ভোটারের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগে টুইটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বলা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।
ওবামা প্রশাসনের প্রযুক্তিবিষয়ক বৈঠকগুলোতে টুইটার নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ছিল।
চলতি বছর অক্টোবরে টুইটার ট্রাম্পের একটি প্রচারণার একটি বিজ্ঞাপনী চুক্তি প্রত্যাখান করে দিয়েছিল। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সৃষ্ট হওয়া ট্রাম্পের রাগ-ই টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসি-কে এই বৈঠকের বাইরে রাখার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প ও টুইটারের সম্পর্কের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র, জানিয়েছে রয়টার্স।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসও, এমনকি অধিকাংশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই ট্রাম্পবিরোধী অবস্থানে ছিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে- এ থেকে টুইটারের উপর ট্রাম্পের রাগ থাকার যুক্তি যথাযথ নয় বলেও মত দিয়েছেন অনেকে।