নাসা’র মিশনে স্পেসএক্স বিলম্ব

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা নিশ্চিত করেছে যে, স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্যাপসুলের মাধ্যমে তাদের মহাকাশ মিশন এক মাস পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2016, 12:30 PM
Updated : 14 Dec 2016, 12:30 PM

চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর লঞ্চপ্যাডেই ফ্যালকন ৯ রকেট বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই  সময়সূচীতে বিলম্বের মধ্যে রয়েছে ইলন মাস্ক-এর ব্যক্তি মালিকানাধীন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। তারই ধারাবাহিকতায় পিছিয়েছে নাসার মিশন, তথ্য ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস-এর।

‘ক্রু ড্রাগন’ নামের স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্যাপসুলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে নাসা’র। এই মিশনের প্রথম উড্ডয়নের সম্ভাব্য সময় ধার্য করা রয়েছে ২০১৭ সালে।

ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বেশ কয়েকবার যাত্রা সম্পন্ন করেছে ড্রাগন। মালামাল সরবরাহ এবং স্টেশন থেকে গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সফলভাবে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে ড্রাগন। এবার নভোচারী নিয়ে যাত্রা করবে মহাকাশযানটি।

সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি স্যাটেলাইট বহনকারী একটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট বিধ্বস্ত হলে সেটির কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করে স্পেসএক্স। এর আগে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নভেম্বরেই পুনরায় রকেট উৎক্ষেপণ শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয় সামনের বছর জানুয়ারির শুরুতেই তারা রকেট উৎক্ষেপণে ফিরবে।

বিলম্বের কারণে নাসা’র মিশন পেছানো হলেও স্পেসএক্স-এর আরেক গ্রাহক ইনমারস্যাট তাদের কাছ থেকে চুক্তি সরিয়ে নিয়েছে। স্পেসএক্স-এর প্রতিদ্বন্দ্বী ফরাসী প্রতিষ্ঠান অ্যারিনাস্পেস-এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইনমারস্যাট।

নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের ড্রাগন ক্রু মিশন পরীক্ষার নতুন তারিখ ২০১৮ সালের মে মাসে ধার্য করা হয়েছে। পরীক্ষা সফল হলে ২০১৮ সালের দ্বিতীয় অর্ধে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নভোচারী পাঠাতে পারবে স্পেসএক্স।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্তমানে নভোচারী প্রেরণ করে থাকে বোয়িং এবং স্পেসএক্স। এ যাবত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী প্রেরণে রাশিয়ার উপর নির্ভর করে আসছিল নাসা। কিন্তু চুক্তি শেষ হওয়ায় ২০১৮ সালের পর নাসার হয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনো নভোচারী পাঠাবে না রাশিয়া।

তাই স্পেসএক্স এবং বোয়িং আরো বিলম্ব করলে ২০১৯ সাল থেকে কিছু সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনো মার্কিন নভোচারী থাকবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।