দেশটির কমিটি অন অ্যাডভারটাইজিং প্র্যাকটিস (সিএপি) জানিয়েছে যে, তাদের ঠিক করা এই সীমাবদ্ধতা অন্যান্য মিডিয়া, যেখানে দর্শকশ্রোতাদের এক চতুর্থাংশের বয়স অনূর্ধ্ব ১৬ তাদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা যাবে।
অনলাইনে বেশি সময় দিচ্ছে এমন শিশুদের স্থুলতা রোধ করার জন্য এমন নিয়ম তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু সমালোচকদের মতে, নতুন এই নিয়ম খুব বেশি কার্যকর হবে না, এমনকি এই আইনের কোনো প্রভাব নাও থাকতে পারে। তাদের দাবি, টিভি শো আর ভিডিও দেখছে এমন অনেক শিশুই অনলাইনে দেখতে পাবে না, ফলে এই নীতি তাদের জন্য কার্যকর হবে না, খবর বিবিসি’র।
অন্যদিকে, বিজ্ঞাপনদাতাদের দাবি, এই নিয়মের ফলে শিশুরা আগে ইউটিউব আর গেইমিং ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞাপন দেখতে পেত তা ‘অনেকাংশে কমিয়ে আনা’ সম্ভব হবে। এই নিয়মে আরও বলা হয়েছে যে, ২০০৭ সালের নিয়মানুসারে প্রচার করা হচ্ছে না এমন সামাজিক মাধ্যম, সিনেমা আর বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনে এমনকি বাচ্চাদের টিভি অনুষ্ঠানের মধ্যেও উচ্চ- ক্যালোরির খাবারের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না।
এক গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এই নিয়ম আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিএপি। ওই গবেষনায় দেখা গেছে, পাঁচ থেকে ১৫ বছরের শিশুরা সপ্তাহে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় টেলিভিশন দেখায় ব্যয় করে।
এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানায়, সরকারের উচিত উচ্চ- ক্যালোরির খাবারের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় জোর দেওয়া।
সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে শিশুদের এক- তৃতীয়াংশই প্রাথমিক স্কুল ছেড়ে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা সমস্যায় ভোগে।
রয়েল কলেজ অফ পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ-এর অধ্যাপক নিনা মোদি বলেন, “এই ব্যবস্থা জাঙ্ক ফুড এবং ঠাণ্ডা পানীয়ের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবে। কিন্তু এ জন্য আরও কাজ করতে হবে।”
২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।