ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড (আইজেএসও)-এ এই অর্জন পেয়েছে বাংলাদেশ। রুপা পদক পেয়েছেন নটরডেম কলেজের তাহমিদ মোসাদ্দেক, স্যার জন উইলসন স্কুলের ফারদিম মুনির ও পাবনা জিলা স্কুলের এ কে এম সাদমান মাহমুদ আবির। এ ছাড়া দলের বাকী তিনজন সদস্য চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আহমেদ নাফিস ফারহান, কুমিল্লা জিলা স্কুলের নিহাল জুহায়ের পরশ মিয়াজী ও বিএফ শাহীন ইংলিশ স্কুলের মিরাজ আহমেদ সাদি পেয়েছেন ব্রোঞ্চ পদক।
২ ডিসেম্বর থেকে এ বারের আইজেএসও শুরু হয়। এবারের অলিম্পিয়াডে ৪৮টি দেশের ২৭৬ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের (বিএফএফ) উদ্যোগে বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে সারাদেশের খুদে বিজ্ঞানযোদ্ধাদের মধ্য থেকে এই ছয় জনকে নির্বাচিত করা হয়। আইজেএসওতে বাংলাদেশ দলের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে রয়েছে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
এই নিয়ে বাংলাদেশ দলের খুদে বিজ্ঞানীরা দ্বিতীয়বারের মতো এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে এসপিএসবি। দলের সঙ্গে সেখানে রয়েছেন দলনেতা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মাদী, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার মো. মোরশেদ আলম ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহকারী একাডেমিক কো অর্ডিনেটর মো. জুনায়িদুল ইসলাম।
বাংলাদেশের খুদে বিজ্ঞানীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষাবিদ ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক-এর উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, "মাত্র দ্বিতীয়বারেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন সাফল্য আর কোনো ক্ষেত্রেই আমরা দেখাতে পারিনি। এ থেকে বোঝা যায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতেই আমাদের শিক্ষার্থীদের সহজাত দক্ষতা সৃষ্টি হচ্ছে।”
পদক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, "এই সাফল্য আগামীতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে।"