সমালোচকদের সঙ্গে চলা মনোমালিন্য মিটিয়ে বরফ গলানোর লক্ষ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় প্রধান রবার্ট কিনকেল এক ব্লগ পোস্টে অর্থ প্রদানের সার্বিক এই চিত্র তুলে ধরেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“এটি স্পষ্ট যে এই সৃজনশীল শিল্পের বৃদ্ধির মূলে রয়েছে দুইটি শক্তিশালী ইঞ্জিন- সাবস্ক্রিপশন এবং বিজ্ঞাপন আর আমরা এর অংশ হতে পেরে গর্বিত”- বলেন কিনকেল।
সম্প্রতি ইউটিউব এবং সঙ্গীত শিল্পের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে বিবাদ লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গীত শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের অভিযোগ ইউটিউব তাদের ন্যায্য অর্থ প্রদান করে না, যাও করে তা তাদের প্রাপ্যের তুলনায় অপ্রতুল। পরবর্তীতে তারা একটি প্রচারণাও চালু করে, যেখানে বলা হয়- “ইউটিউবের আমাদেরকে আরও অর্থ পরিশোধ করা উচিৎ।”
তাদের যুক্তি ছিল সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু ব্যাতিক্রম শুধু বিনামূল্যের সঙ্গীতের ক্ষেত্রেই আর এর উদাহরণ হিসেবে তারা বেছে নেয় ইন্টারনেটের বৃহত্তম বিনামূল্যে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটটিকে।
অ্যালবাম ও সঙ্গীত বিক্রি থেকে সরে গিয়ে সাবস্ক্রিপশন ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার সিদ্ধান্তকে এই সমস্যার কারণ হিসেবে দেখছে ইউটিউব।
গুগল মালিকানাধীন ইউটিউবে যে কেউ নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং তার মাধ্যমে অর্থ আয় করতে পারেন। ইউটিউবের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ভিডিওর কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে বৈধ মালিককে ক্লিপ ও বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ প্রদান করে।
২০০৫ সালে চালুর পর এখন পর্যন্ত সঙ্গীত শিল্পকে ইউটিউব প্রায় ৩০০ কোটি ডলার প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে।