ব্রুনো কাল জানান, তার সংস্থা ‘রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টির’ উদ্দেশ্যে চালানো সাইবার আক্রমণ নিয়ে সতর্ক। জার্মান দৈনিক সুয়েডয়চে জেইটাং-কে তিনি বলেন, “এই ধরনের লঙ্ঘনের চেষ্টার জন্য ইউরোপ-কে লক্ষ্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে আর বিশেষভাবে জার্মানিকে।”
কাল বলেন, “কোনো রাষ্ট্রকে চিহ্নিত করা কারিগরিভাবে কষ্টসাধ্য। কিন্তু এটি যে অন্তত কোনো রাষ্ট্রের ইচ্ছায় বা প্রশ্রয়ে হয়েছে তার কিছু প্রমাণ আছে।”
এই ধরনের আক্রমণ নিয়ে রাশিয়া আর দেশটির সঙ্গে সম্পৃক্ত দলগুলো বরাবরই অভিযুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে জার্মার চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল জানান, হ্যাকারদের আক্রমণ এখন প্রচলিত ঘটনা হয়ে উঠছে। রোববার ডয়চে টেলিকম-এর নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের ঘটনার পর এ কথা বলেন তিনি। নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের এই ঘটনার জন্য এখনও কোনো হ্যাকার দলকে দায়ী করেনি জার্মান সরকার। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “কোনো একটি দেশ থেকে অপরাধ কার্যক্রম চালানো আর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমগুলোর মধ্যে পার্থক্য বলা কঠিন।”
মের্কেল বলেন, “এ ধরনের সাইবার হামলা বা হাইব্রিড সংঘর্ষ রুশ তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত, এগুলো এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ আর আমাদেরকে অবশ্যই এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে।”