সোমবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানা যায়, স্কুল ইউনিফর্ম বা সাঁতারের পোশাক পড়া কমবয়সী মেয়েদের কিছু ‘নিষ্পাপ’ ছবি টুইটারে শিশু পর্নোগ্রাফি হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
“কিছু কিছু ছবি মেয়েরা নিজেরাই তোলে। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে তারা এটি তাদের ‘ছেলেসঙ্গী’-কে পাঠিয়েছিল কিনা, যে হয়তো পরে তা আপলোড করা হয়েছে। অন্যান্য ছবিগুলো দেখে বোঝা যায়, সেগুলো কোনো সামাজিক মাধ্যম থেকে চুরি করা হয়েছে”, বলেন বিবিসি’র ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জোসেফ কক্স।
কক্স টুইটার থেকে আর কিছু বিষয় তুলে ধরেন। তিনি দেখেন, এখানে কিছু মানুষ পরস্পরের সঙ্গে একই ধরনের ছবি নিয়ে ‘বাণিজ্য’ করছেন, আবার সেগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে ‘বিরূপ’ মন্তব্যও করছেন।
এই বিষয়ে টুইটারের নীতি হচ্ছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি শিশু পর্নোগ্রাফির মতো কোনো বিষয় লক্ষ্য করলেই তা কোনও ঘোষণা ছাড়াই অপসারণ করে দিতে পারে।তা ছাড়াও এমন কাজের জন্য ব্যবহারকারীকে স্থায়ীভাবে ‘নিষিদ্ধ’ করার নীতিও রয়েছে, জানিয়েছে আইএএনএস।
“কমপক্ষে ১৪ হাজার অ্যাকাউন্ট শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি, বিতরণ বা পুনরায় টুইটের সঙ্গে জড়িত”- প্রতিবেদনে এক মার্কিন নারীর এই উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। পর্নোগ্রাফিতে ভুক্তভোগীদের অধিকাংশের বয়স ১৫ বছরের নীচে বলেও জানা গেছে।
২০১১ সালে রেডিট একই রকম সমস্যার জন্য ‘জেইলবেইট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।