এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন গ্রাহকরা বিটকয়েন কেনাবেচা, সংরক্ষণ ও দূরবর্তী স্থানের কোনো ডিভাইসে পাঠাতে পারবেন বলে জানিয়েছে আইএএনএস।
বিটকয়েন হচ্ছে এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা যার উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ পদ্ধতিতে মৌলিক কোড ব্যবহার করে নাম-পরিচয় গোপন রেখে পণ্য কেনাবেচা করা যায়।
বিটকয়েন খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে ‘ব্লকচেইন’ নামের এক অসাধারণ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বের সব লেনদেন যাচাই করা যায়। বিটকয়েন নেটওয়ার্কে একটি পরিপূর্ণ রেকর্ড লগ থাকে। নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা বিশ্বের সব কম্পিউটারে এই রেকর্ড একই রকম থাকে, আর প্রতিটি লেনদেনের পরপরই এটি কিছুক্ষণ পরপর আপডেট হয়। বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকিং ধারায় সব রেকর্ড কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয়। এ কারণে কোনো একটি ব্যাংকের নেটওয়ার্ক হ্যাক হলে, সহজেই এর ডেটা ভুয়া বানিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ব্লকচেইনের কারণে সব কম্পিউটারে একই রেকর্ড থাকায়, কোনো ভুয়া রেকর্ড দেওয়া হলে তা সঙ্গে সঙ্গেই ধরা যাবে। বিটকয়েনের এমন সুবিধাই ব্যাংক আর অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির জন্য লোভনীয় হয়ে উঠেছে।
এক বিবৃতিতে উনোকয়েন-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আভিনান্দ কাসেতি বলেন, “আমরা এই অ্যাপটি একদম নিচ থেকে তৈরি করেছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের একেবারে নিজস্ব পাবলিক এপিআই ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ব্যবহারের সুবিধা আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।”
২০১৩ সালের জুনে উনোকয়েন যাত্রা শুরু করে। আর ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি পুরোদমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।