অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন-এর গবেষকরা গবেষণায় দেখেন, শিশু নিপীড়ন করেছেন এমন তরুণরা জানিয়েছেন যে তারা যদি ‘নিয়ন্ত্রিত’ পর্নোগ্রাফি আর সময়মতো উপযুক্ত ‘যৌন শিক্ষা’ পেতেন তাহলে তারা এমন বিকৃত আচরণ করতেন না।
“অবাধে তরুণ সমাজের পর্নোগ্রাফিতে অভ্যস্ত হওয়া ‘চোখের পলকে’ পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারের সঙ্গে বেড়ে উঠার প্রথা নষ্ট করে দিচ্ছে”, বলেন গবেষণার প্রধান গবেষক গেমা ম্যাককিব্বিন।
আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছয় বছরের কম বয়সী শিশুরা হয়রানির শিকার হয় বেশি আর বিকৃত আচরণের নিপীড়কদের বয়স গড়ে মাত্র ১২ বছর।
আইএএনএস-এর তথ্যমতে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন জানিয়েছে, পর্নোগ্রাফিতে তাদেরকে উন্মুক্তভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার একই গবেষণায় অন্তত তিনজন তাদের বিকৃত ব্যবহারের জন্য সরাসরি পর্নোগ্রাফির ব্যবহারকে দায়ী করেছেন।
গবেষণায় স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে উপযুক্ত ‘যৌন শিক্ষা’ চালু করার গুরুত্ব আলোকপাত করা হয়েছে।
“আগে থেকে সম্ভব না হলেও অন্তত স্কুল থেকেই বাচ্চাদের উপযুক্ত আর নিরাপদ যৌন শিক্ষার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া দরকার”, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন ম্যাককিব্বিন।