ড্রোন কোড সংশোধনে যুক্তরাজ্য

নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত করতে সংশোধন আনা হয়েছে যুক্তরাজ্যের ড্রোন চালনা সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2016, 07:05 AM
Updated : 27 Nov 2016, 07:05 AM

দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএ) জানিয়েছে, তারা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষভাবে কেউ যদি উপহার হিসেবে একটি ড্রোন পায় তাদের জন্য, জানিয়েছে বিবিসি।

সিএএ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ উড্ডয়ন নিয়মাবলী সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এমন ড্রোন মালিক ৩৯ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবরে ড্রোন এবং বেসামরিক প্লেন অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়, যুক্তরাজ্যের এয়ারপ্রক্স বোর্ড এমন চারটি ঘটনা নথিভুক্ত করার পর এই হালনাগাদের সংবাদ এল। এর মধ্যে একটি ঘটেছে লিভারপুল বিমানবন্দরের কাছে এবং বাকি তিনটি পরপর হিথ্রো-তে।

ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস বা ‘এনএটিএস’ এর পক্ষে অ্যানড্রিউ সেজ এক বিবৃতিতে বলেন, “ড্রোন প্রযুক্তির এক অবিশ্বাস্য এবং অনুপ্রেরণাদায়ক উপহার কিন্তু এটি অত্যাবশ্যক যে মানুষ তাদের নিরাপদে ব্যবহার করছেন।” 

“ড্রোন সংক্রান্ত দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের আইনগত বাধ্যবাধকতা ও নিরাপদ উড্ডয়ন সম্পর্কে বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ”-যোগ করেন তিনি।

সংশোধিত নিয়মাবলী সহজে মনে রাখার জন্য ড্রোনের ইংরেজি বানানের পাঁচটি বর্ণ ব্যবহার করে প্রধান পাঁচটি নিরাপত্তা টিপস এর শুরুতে সেগুলো প্রয়োগ করা হয়েছে।

১। বিমানবন্দরের কাছাকাছি উড্ডয়ন না করা।( Don't fly near airports or airfields)

২। ১২০ মিটারের নীচে উড্ডয়ন করা এবং মানুষ থেকে কমপক্ষে ৫০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা। (Remember to stay below 120m (400ft) and at least 50m (150ft) away from people)

৩। সর্বদা ড্রোনের উপর নজর রাখা। (Observe your drone at all times)

৪। কখনও প্লেনের কাছাকাছি না উড়া। (Never fly near aircraft)

৫। দায়িত্ব উপভোগ করা। (Enjoy responsibly)

এ ছাড়াও গ্রাহকরা যখন ড্রোন কিনতে যান তখন যেন তাদের এই সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয় তা নিশ্চিত করতে অনলাইনে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করছে সিএএ এবং এনএটিএস। সিএএ এক গবেষণায় দেখেছে মাত্র ৩৬ শতাংশ ক্রেতা এই সম্পর্কিত সঠিক নির্দেশিকা পেয়ে থাকেন।

এয়ারপ্রক্স বোর্ড বলছে এই বছর ড্রোন এবং প্লেন কাছাকাছি আসার মোট ৫৬টি ঘটনা ঘটেছে যা আগের বছর ছিল ২৯টি। 

কিছু ইউরোপিয়ান সংস্থা ড্রোন প্রস্তুতকারকদের ‘জিও-ফেন্সিং’ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ দিচ্ছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একে নিষিদ্ধ এলাকায় উড়তে বাধা দেবে।