সৌরশক্তিচলিত ড্রোন ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে মার্কিন যোগাযোগের মাধ্যমের সাইটটি। এই পরিকল্পনা প্রকাশের পরই ড্রোনটির প্রথম উড্ডয়নের দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন তদন্ত চালু করেছে সংস্থাটি, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।
প্রথম উড্ডয়নের পর ড্রোনটি মরুভূমিতে ক্র্যাশ ল্যান্ড করলেও ফেইসবুক এটিকে সাফল্য হিসেবেই দেখছে। অ্যাকুইলা নামের এই ড্রোনটিকে প্রতিষ্ঠানটি ‘সফল’ হিসেবে বিবৃতি দিয়েছে কারণ ড্রোনটির উড্ডয়নের সময়কাল ছিল ৯৬ মিনিট যা প্রত্যাশার তিন গুণ।
ফেইসবুকের প্রোকৌশলী এবং কাঠামো বিভাগের প্রধান জে পারিখ চলতি বছরের জুলাই মাসে ড্রোনটি পরীক্ষার ঘটনা প্রকাশ করেন এবং জানান, “আমাদের সামনে আরও অনেক কাজ আছে। আমাদের পরের পরীক্ষায় অ্যাকুইলা-কে আমরা আরও দ্রুতগামী, উঁচুতে এবং বেশি সময় ধরে উড়াবো যা এটিকে ৬০ হাজার ফুট ওপরে নিয়ে যাবে।“
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, এনএসটিবি-এর তদন্ত অনুযায়ী ড্রোনটির এই দূর্ঘটনাকে ‘কাঠামোভিত্তিক ব্যর্থতা’ বলা হয়। ব্যর্থতাকে এনএসটিবি একটি ‘দূর্ঘটনা’ হিসেবেই মনে করে এবং এটির মাধ্যমে ‘বাস্তবিক’ ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ড্রোনটি ফেইসবুকের ইন্টারনেট ডটওআরজি প্রকল্পের সমৃদ্ধকরণ প্রযুক্তি হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল যা লাখো মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে পারে। ড্রোনটি ব্যবসায়িক প্লেনের চেয়ে বেশি উচ্চতায় উড্ডয়ন করে লেজার দিয়ে ডেটা প্রদানে সক্ষম।