সুযোগ পেলেন নিষিদ্ধ উবার চালকরা

প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধ চালকদের পুনরায় আবেদনের সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে অ্যাপভিত্তিক যাত্রীসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার। তবে, এর সঙ্গে অনেক কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2016, 03:15 PM
Updated : 22 Nov 2016, 03:16 PM

প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের চালকরা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

উবার বিভিন্ন কারণে এর চালকদের ‘বাতিল’ করে থাকে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোনো চালকের গ্রাহক রেটিং ৫ এর মধ্যে ৪.৬ এর নিচে নামা। যৌন হয়রানির মতো গুরুতর অসদাচরণের জন্যও কোনো চালক নিষিদ্ধ হতে পারেন। এ ছাড়াও অতিরিক্ত যাত্রী আবেদন বাতিলের কারণে বা যথেষ্ট পরিমাণ যাত্রী পরিবহন না করার মতো অভিযোগের কারণেও অনেক সময় চালকদের নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোনো চালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উবার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পর নিষিদ্ধ হয়েছেন।

এখন থেকে শুধু নিউ ইয়র্কের নিষিদ্ধ চালকরা পাঁচজন উবার চালকের সমন্বয়ে গঠিত 'পিয়ার প্যানেল'-এর সামনে তাদের পুনরায় বহাল করার আবেদন করতে পারবেন। আইডিজি ও উবার যৌথভাবে এই 'পিয়ার প্যানেল'-এর পাঁচ চালককে বাছাই করবে, যাদের বিচারকার্যে সহায়তা করবে 'আমেরিকান আরবিট্রেশন অ্যাসোসিয়েশন'। কিন্তু খারাপ যাত্রীসেবার জন্য যে সব চালকের পর্যাপ্ত রেটিং অর্থাৎ পাঁচ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.৬ নেই তারা এই আবেদনের জন্য বিবেচ্য হবেন না।

উবারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের বিশাল জয় হিসেবেই দেখছে উবার স্বীকৃত শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দল 'ইন্ডিপেনডেন্স ড্রাইভার গিল্ড' বা আইডিজি। উবারের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে মাসব্যাপী দর কষাকষির পর এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং তারা এই জয় উদযাপন করবে, সদস্যদের ই-মেইলের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছে আইডিজি'র প্রতিষ্ঠাতা জিম কনিগ্লিয়ারো।

"কোন নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়াই হালকাভাবে নেওয়া হয় না বা যথাযথ তদন্ত ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় না"- আবেদনসংক্রান্ত ওয়েব পেইজে লিখেছে প্রতিষ্ঠানটি। কিছু কিছু নিষিদ্ধকরণ সিদ্ধান্ত বিশেষ করে যেগুলো 'জিরো টলারেন্স'-এর অন্তর্ভুক্ত সে সব কোনোভাবেই আবেদনের যোগ্য নয় বলেও জানিয়েছে তারা।

বিবিসির পক্ষ থেকে উবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। একই ধরনের সুবিধা অন্যান্য শহরে বা দেশে চালু করা হবে কি না তাও নিশ্চিত করেননি প্রতিষ্ঠানটি।    

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে ছয় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অর্থলগ্নি নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে উবার।