ভারতে সাইবার ভুক্তভোগীদের ‘মিলেনিয়াল’ বেশি

বিগত বছরগুলোতে ভারতে সাইবার অপরাধের অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন মানুষদের মধ্যে  প্রায় ৫৫ শতাংশের বেশিই ‘মিলেনিয়াল’। আর বিশ্বজুড়ে সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের মধ্যেও মিলেনিয়ালদের আধিক্য রয়েছে। ২০১৫ সালেই এই হারটা প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল, শনিবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে আইএএনএস।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2016, 01:53 PM
Updated : 20 Nov 2016, 01:53 PM

১৯৮০-২০০০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তাদের ‘মিলেনিয়াল’ বলা হয়।

নিরাপত্তাবিষয়ক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘নরটন সাইবার সিকিউরিটি ইনসাইটস’-এর তথ্যানুসারে, “৩৯ শতাংশ ভারতীয় মিলেনিয়ালদের মধ্যে প্রায় সবার ‘র্যানসমওয়্যার’ নামের ক্ষতিকর সফটওয়্যারের অভিজ্ঞতা হয়েছে বা তাদের পরিচিত কেউ এই সফটওয়্যারের শিকার হয়েছেন।”

র্যানসমওয়্যার হচ্ছে এমন একটি ভাইরাস যা আক্রান্ত কম্পিউটারের ফাইল এনক্রিপ্ট বা ‘লক’ বা ব্যবহারের অযোগ্য করে ফেলে এবং এটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য অর্থ দাবি করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সফটওয়ওয়্যারে ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ মিলেনিয়াল মুক্তিপণ দিয়েও তাদের ফাইলে প্রবেশাধিকার পাননি। তা ছাড়াও প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, প্রায় ৩০ শতাংশ মিলেনিয়াল অনুমতি ছাড়াই তাদের প্রতিবেশীদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন।

নিজেদের অজান্তে বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। তার মধ্যে রয়েছে- জরিপে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ (প্রায় ৬০ শতাংশ মিলেনিয়াল), থার্ড- পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করা (৪৩ শতাংশ), অনলাইনে নিজেদের ফাইলে প্রবেশাধিকার দেওয়া (২৫ শতাংশ) আর বিনামুল্যে পাবলিক ওয়াই-ফাইতে প্রবেশ করার জন্য নিরাপত্তা সফটওয়্যার বন্ধ করা (২৪ শতাংশ)।  

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে নরটন সবাইকে পরামর্শ দিয়েছে যে- পাসওয়ার্ড বাছাইয়ে সচেতন হতে হবে, মুক্তিপণ এড়াতে অনলাইনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে। তা ছাড়াও পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের আগে তার বিস্তারিত জেনে নেওয়ার জন্য মিলেনিয়ালদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।