অ্যামাজনকে অর্থ ফেরতের নির্দেশ

২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে অ্যামাজন থেকে যেসব শিশু বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া কিন্ডল এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কিনেছিল তাদের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে অ্যামাজনকে নির্দেশ দিয়েছেন এক মার্কিন বিচারক।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2016, 01:40 PM
Updated : 12 Nov 2016, 05:28 PM

ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) কর্তৃক গৃহীত সফল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলাফলস্বরূপ সিয়াটলভিত্তিক বিচারক জন কাগহেনার অ্যামাজনকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১২ মাসব্যাপী এই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দেন। যদিও এফটিসি'র দেওয়া ২৫.৬ কোটি ডলারের প্রত্যর্পণের আবেদনটি বিচারক “পরিমাণে অনেক বেশি” বলে নাকচ করে দেন। অ্যামাজনের এই অর্থ উপহার কার্ড আকারে প্রদানের প্রস্তাবও নাকচ করে দেন তিনি, জানিয়েছে বিবিসি।

গেইম এবং সঙ্গীতের মতো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন অতিরিক্ত কনটেন্টের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের ব্যবস্থাটি অ্যামাজন এবং অন্যান্য প্লাটফর্মে ২০১১ সাল থেকে চালু করা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই মা-বাবারা অভিযোগ করেন গেইম খেলার সময় শিশুদের পক্ষে কোনো দুর্ঘটনা বা অনুমোদন ছাড়াই এসব কনটেন্ট কেনা খুবই সহজ। তখন অ্যামাজনে কোনো অ্যাপ্লিকেশনেই এমনকি শিশুদের গেইম বা তাদের আকর্ষণ করে এমন যে কোনো অ্যাপ কেনার জন্য কোনো ধরনের পাসওয়ার্ডের প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে এফটিসি এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

২০১৪ সাল থেকে অ্যামাজন এই প্রক্রিয়ার পরিবর্তন করে যেখানে কীভাবে অ্যাপ্লিকেশন ক্রয় করতে হবে তার বর্ণনা অ্যামাজনের অ্যাপ স্টোরে দেওয়া থাকে এবং অ্যাপ ক্রয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়াটিও পরিমার্জিত করা হয়। এমনকি অ্যাপ্লিকেশন ক্রয়ের সুবিধাটি মা-বাবারা চাইলে প্রতিষ্ঠানের 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল'  দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করেও রাখতে পারবেন।

২০১৪ সালে এফটিসি অ্যামাজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সময় একই অভিযোগে অ্যাপল এবং গুগলের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে।

আলাদা মধ্যস্থতায় অ্যাপল ৩০ কোটি ডলার এবং গুগল ১৯ কোটি ডলার গ্রাহকদের প্রত্যর্পণ করতে সম্মত হয়।

এই বছরের এপ্রিলে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয় এবং তারই প্রেক্ষিতে এই আদেশ দান করেন বিচারক।