পরীক্ষা সফল হওয়ার পরই গ্রাহকদের দেওয়া অর্ডারগুলো নিরাপদ করতে নতুন মূলধন যোগাবে হাইপারলুপ ওয়ান, জানিয়েছে রয়টার্স।
হাইপারলুপ ট্রানজিট সিস্টেম হচ্ছে ২০১৩ সালে মার্কিন ধনকুবের ও প্রকৌশলী, টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক-এর দেওয়া ভবিষ্যতের যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি ধারণা। এতে একটি বায়ুশূন্য নলের ভেতর চুম্বকের সহায়তায় কিছু পড ভাসিয়ে রাখা হয়। এই ভাসমান পডগুলোর মাধ্যমে মানুষ ও মালামাল ঘণ্টায় সাড়ে সাতশ' মাইল পর্যন্ত গতিতে পর্যন্ত ভ্রমণ করানো যাবে।
হাইপারলুপ ওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন ইতোমধ্যেই তার প্রতিষ্ঠান ডাচ এবং ফিনিশ সরকারের সঙ্গে দেশগুলোতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া এই সপ্তাহের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল তারা দুবাইতে যৌথভাবে হাইপারলুপ পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
সামনের বছরের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি নেভাডার একটি কেন্দ্রে সিস্টেমের কার্যকারিতা প্রদর্শন করার জন্য প্রথম পূর্ণ মাত্রার পরীক্ষা শুরু করবে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার জন্য এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে আগের মাসে দুবাই পোর্ট অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ড এর সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের অর্থায়নের চুক্তিটিও অন্তর্ভুক্ত।
“মূলত আমরা সামনের বছরে একটি বড় তহবিল পাওয়ার চেষ্টা করছি।”-রয়টার্স কে বলেন হাইপারলুপ ওয়ানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান জস গিগেল। “আমাদের হাতে যদি যথেষ্ট গ্রাহক থাকে তাহলে কাজ এমনিতেই অনেক সহজ হয়ে যাবে”-যোগ করেন তিনি।
গিগেল আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এর সম্ভাব্যতা সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান চুক্তি এই আশাবাদ ব্যক্ত করে যে এর পরীক্ষা সন্দেহাতীতভাবে সফল হতে যাচ্ছে। এখন এটাই দেখার বিষয় ঠিক কত তাড়াতাড়ি আমরা নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া ও গ্রাহক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারি। এক্ষেত্রে যেটি সবার আগে দরকার সেটি হল তহবিল সংগ্রহ।
মাটির উপর অথবা নীচ দিয়ে বিশালাকার টিউব ব্যবহার করে হাইপারলুপ ওয়ান দ্বারা নির্মিত নেটওয়ার্কে কয়েকশো কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানানো হয়।