কিন্তু নিজের জীবন সহজ করতে গিয়ে এসব সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার অনলাইন প্রতারকদের কাজও সহজ করে দিতে পারে, এমনটাই সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
চলতি বছর ইয়াহু-র ব্যবহারকারীদের বিশাল ডেটাবেইস বেহাত হয়ে তাদের পাসওয়ার্ড প্রকাশ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ গ্রাহকের পাসওয়ার্ডই ছিল- 'পাসওয়ার্ড' আর '১২৩৪৫৬'। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা পাসওয়ার্ডের তালিকায় প্রথম দশটির মধ্যে 'কোয়ার্টি' আর 'এবিসি১২৩' ও ছিল বলে জানান ল্যাঙ্কাস্টার ইউনিভার্সিটি'র একজন বিশেষজ্ঞ। এসব পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের জন্য ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ সহজ হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
পাসওয়ার্ড অনুমানের বিষয়ে করা এই গবেষণার একজন গবেষক ড. জেফ ইয়ান বলেন, "কেন কেউ অবশ্যম্ভাবী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন? আমি মনে করি, একটি প্রধান কারণ হচ্ছে, তারা এ বিষয়ে অসতর্ক বা তারা অনলাইন নিরাপত্তা ঝুঁকি বোঝেন না।"
"এখন যেমন সবাই জানেন যে রাস্তায় লাল বাতি জ্বললে কী করা উচিৎ। ক্রমান্বয়ে প্রত্যেকে এটিও জানবেন যে ১২৩৪৫৬ বা এর মতো পাসওয়ার্ডগুলো নিরাপদ নয়।"
ইয়াহু ডেটা থেকে পাওয়া পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হওয়া পাসওয়ার্ডের তালিকায় আরও ছিল- ওয়েলকাম, সানশাইন, নিনজা ইত্যাদি। আর অনেকে তাদের নাম, বয়স আর জন্মদিনের সমন্বয়েও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন।
ল্যাঙ্কাস্টার, পেকিং আর চীনের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পাসওয়ার্ড আন্দাজ করতে একটি অ্যালগরিদম বানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে হ্যাকারদের ফাঁস করা বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের উপর নির্ভর করেছেন গবেষকরা।
এই অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ৭৩ শতাংশের পাসওয়ার্ডই সঠিকভাবে অনুমান করা হয়েছে। আর যারা নিরাপত্তা নিয়ে একটু সতর্ক, তাদের ক্ষেত্রে এই হার তিন শতাংশ।