সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) থেকে সরাসরি দেখানো হচ্ছে দাবি করে দুটি ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি কথিত 'লাইভ' ভিডিও ছাড়া হয়, যা আসলে আগেই ধারণ করা ছিল আর এ নিয়ে করা দাবিও সত্য ছিল না। কিন্তু বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ সরল বিশ্বাসে ওই ভিডিও দেখেন, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করেন।
সবাই ভিডিওটি নিয়ে এত মাতোয়ারা হলেও, অধিকাংশরাই ঘেঁটে দেখেননি যে, নাসা বা আইএসএস-এর কেউই ফেইসবুক লাইভে এমন কোনো ভিডিও দেখানো নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। আর নাসা বিবিসিকে নিশ্চিত করে জানায়, এটি আইএসএস-থেকে সরাসরি দেখানো কোনো ভিডিও নয়, বরং হয়তো এটি আগের কোনো মহাকাশযাত্রায় তোলা ভিডিও ফুটেজ।
এবার ইন্টারস্টিনেইট আর ইউএসএ ভাইরাল নামের দুইটি ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি ভিডিও ছাড়া হয়। বলা হয়, এটি হচ্ছে ১৯৯৯ ফুট উঁচু একটি টাওয়ারের উপরে একটি লাইটবাল্ব বদলানোর সরাসরি সম্প্রচার। চার ঘণ্টার এই ভিডিওটি আসলে তা ছিল না, সরাসরি তো না-ই, সাম্প্রতিকও নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভিডিওটি আসলে প্রায় ১৮ মিনিটের হলেও, এটি চার ঘণ্টা ধরেই দেখানো হচ্ছিল। একই কৌশল ইউএসএ ভাইরাল পেইজে দেখানো মহাকাশের ভিডিওটিতেও দেখানো হয়।
এই ভিডিওর আসলে কপি ইউটিউবে খুঁজে পাওয়া যায় বলেও জানায় বিবিসি। ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এটি প্রকাশ করা হয়। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ডেকোটায় রোয়েনা এলাকার কেডিএলটি টাওয়ারে একটি অ্যান্টেনা পরিদর্শনের ভিডিও।
ফেইসবুকের লাইভ ভিডিও যে দর্শকদের টানতে একটি বড় মাধ্যম তা এই ভিডিও'র মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। পেইজটিতে দেখা যায়, এই ভিডিওতে আড়াই লাখের বেশি রিঅ্যাকশন, মোট দেখার সংখ্যা ৬০ লাখ, ৫৪ হাজারেরও বেশি শেয়ার দেখা যায়। আর প্রতিবার শেয়ারের পর শেয়ারকারীর টাইমলাইনে দেখা দর্শকরাতো রয়েছেই।