গিমা হচ্ছে জার্মানিতে অধিকার রক্ষায় কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান, যা জার্মান গায়ক, সুরকার ও প্রকাশকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। বিবিসির তথ্যানুসারে, ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের সঙ্গে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয় গিমা'র। শিল্পীদের দেখানোসহ ব্যাকগ্রাউন্ডে তাদের গান বাজানো হয়েছে কিন্তু তাদের সম্মানি দেওয়া হয়নি এমন কিছু ভিডিও নিয়ে শুরু হয় এই দ্বন্দ্ব, সেদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্লিপগুলো।
নতুন চুক্তি অনুসারে, এখন এই ক্লিপগুলোর জন্য অর্থ পরিশোধ করার কথা বলা হলেও, এ ক্ষেত্রে থাকা নীতিমালা কোনো পক্ষই প্রকাশ করেনি।
গুগলের কনটেন্ট আইডি সিস্টেম অনুযায়ী, যেসব ক্লিপ গিমা-সুরক্ষিত, সেগুলোর বিজ্ঞাপন থেকে হওয়া আয়ের অংশ সরাসরি গানগুলোর নির্মাতাদের কাছে পৌঁছে যাবে। সেইসঙ্গে জার্মানিতে বন্ধ করে রাখা হাজারো ইউটিউব ক্লিপ আবারও চালু করা হবে।
ইউটিউবের ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক পার্টনারশিপস-এর প্রধান ক্রিস্টফ মুলার এক ব্লগে লিখেছেন, “জার্মানিতে নতুন ও বিদ্যমান ভক্তদের কাছে পৌঁছানোটি পুরো দুনিয়ার সঙ্গীত শিল্পীদের জন্য একটি জয়... এবং জার্মানির ইউটিউব ব্যবহারকারীদের জন্য যারা মিউজিক কনটেন্টে আর ব্লকিং মেসেজ দেখবেন না।”
গিমার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যারল্ড হেকার বলেছেন, “আমরা যে বাধার সম্মুখীন হয়েছি তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সঠিক, এ ডিজিটাল যুগে লেখকদের একটি ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়া উচিত।”
আনলিমিটেড মিডিয়ার পরিচালক ক্রিস কুক বলেছেন, “গিমা দীর্ঘদিন যাবৎ ইউটিউবের সমালোচক ছিল, এমনকি যখন অনেক রেকর্ড প্রতিষ্ঠান এটি সমর্থন করেছিল, তখনও এ ভিডিও সাইটের বিরোধিতা করেছে। এর মানে অন্যান্য জায়গার মতো জার্মানিতে সঙ্গীত কেন্দ্র ইউটিউব নয়, যা নতুন শিল্পীদের খুঁজে বের করতে মার্কেটিং চ্যানেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।”