হোভারবোর্ডের আগুন বাড়িতে, মামলায় অ্যামাজন

হোভারবোর্ডে নামে পরিচিত স্বনিয়ন্ত্রিত স্কুটারে আগুন লাগার অভিযোগ নতুন নয়। এবার ঘটেছে এ থেকে বাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2016, 01:36 PM
Updated : 3 Nov 2016, 01:36 PM

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে ন্যাশভিল শহরের এক পরিবার সম্প্রতি আমাজনের বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি ডলারের মামলা ঠুকে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ক্রিসমাস ডে -তে পাঠানো উপহার থেকে বাসায় আগুন লেগে যাওয়ার জন্য এই অনলাইন বিক্রেতা অবশ্যই দায়ী।

অভিযোগ অনুসারে, ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর, মেগান ফক্স অ্যামাজনের ওয়েবসাইট থেকে আসল স্যামসাং অ্যাডভান্সড ব্যাটারিসহ একটি 'ফিটারবো এফ-১' কেনেন, যা ঐ প্রতিষ্ঠানে 'ডব্লিউ-ডিলস' নামে পরিচিত। ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে ক্রিসমাসের উপহার হিসেবে উপহার দেওয়ার আগ পর্যন্ত হোভারবোর্ডটি আলমারির ভেতরে রেখেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারি এর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়। প্রায় একই রকম বিস্ফোরণের ঘটনার একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কনজিউমার প্রোডাক্ট সেইফটি কমিশন চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রায় পাঁচ লাখ হোভারবোর্ড বাজার থেকে সরিয়ে নেয়।

বিস্ফোরণের ঘটনার সময় ঐ পরিবারের দুই শিশু বাসায় ছিল। আগুন থেকে বাঁচতে তারা দোতলার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে নিচে লাফিয়ে পড়ে। কয়েক কোটি ডলার মূল্যের বাড়ি আর জিনিসপত্র আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

থার্ড-পার্টি প্রতিষ্ঠান, যারা অ্যামাজনকে তাদের পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবহার করে তাদের পণ্যের মানের দায়ভার নেবে এমন প্লাটফর্ম নয় অ্যামাজন। কিন্তু মামলা অনুসারে, 'ডাব্লিউ-ডিলস' চীনে তৈরি একটি জাল পণ্য ছিল।

ফক্স পরিবারের আইনজীবী জানান, তারা ‘কয়েক মাস’ যাবত ত্রুটিপূর্ণ এসব হোভারবোর্ড নির্মাতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। যদি কোনো পণ্য নির্মাতা না পাওয়া যায়, তবে ওই এলাকার আইন বাদীকে বিক্রেতাকে দায়ীকে করার সুযোগ দেয়, যার ফলে অ্যামাজনের বিরুদ্ধেই চলে যাবে এই মামলা।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলায় করা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারিতে বিস্ফোরণের ঘটনার পরও অ্যামাজন তাদের হোভারবোর্ড ক্রেতাদের এই ত্রুটি আর নিরাপত্তাবিষয়ক সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করেনি। 

২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অ্যামাজন নিরাপত্তার কারণে তাদের ওয়েবসাইট থেকে বেশ কিছু হোভারবোর্ড সরিয়ে নেয়।

পুরো ঘটনায় অ্যামাজন কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।