ইয়াহু ছাড়ছেন নারী কর্মকর্তারা

অস্বাভাবিক উচ্চহারে ইয়াহু ছাড়ছেন প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মকর্তারা। চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকেই এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও এই ঘটনার কোনো পরিষ্কার কারন এখন পর্যন্ত জানা যায়নি বলে সোমবার ২০১৬ সালের কর্মী বৈচিত্র্যবিষয়ক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2016, 02:37 PM
Updated : 1 Nov 2016, 02:37 PM

শ্বেতাঙ্গ এবং এশিয়ান পুরুষ কর্মীদের সংখ্যার আধিপত্য নিয়ে সিলিকন ভ্যালি যখন চাপের মুখে, তখন এমন খবর এল বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

২০১৫ সালে খুব একটা সুবিধা করতে না পারা মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিকল্প পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন গতির সঞ্চার করতে প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটায়ের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে, জুলাই মাসে ৪৮০ কোটি ডলারের বিনিময়ে আরেক মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভেরাইজন কমিউনিকেশনের কাছে তারা তাদের মূল ইন্টারনেট ব্যবসা বিক্রির ঘোষণা দেয়, যদিও পরবর্তীতে ২০১৪ সালের এক ডেটা লঙ্ঘনের খবর প্রকাশিত হলে সম্ভাব্য ওই চুক্তিও ঝুলে যায়।

চলতি বছরের ৩০ জুন এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইয়াহুর নারী নেতৃত্বে থাকা পদ বর্তমানে ২১ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কম। অ-প্রযুক্তিগত খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটিতে মোট নারী কর্মীর সংখ্যা আগের মতই ৩১ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে ইয়াহুর মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ৯,৪০০ জন, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে এসে ৮,৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

সিলিকন ভ্যালির 'সবচেয়ে ক্ষমতাধর' নারী প্রধান নির্বাহী মারিসা মায়ার-এর নেতৃত্বে থাকার পরও কেন ইয়াহুতে নারী কর্মীদের অনুপাত অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয় এখনও।

অন্য জায়গায় তুলনামুলক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়াই নারী নেত্রীদের ইয়াহু ত্যাগের প্রধান কারণ বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির বৈচিত্র্য এবং নিয়োগ বিভাগের প্রধান মারগানেট মুর রবার্ট। অধিকাংশ নারী কর্মকর্তাই প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির ঘোষণার পর স্বেচ্ছায় পদ ছেড়ে চলে গেছেন- যোগ করেন তিনি।

নারী কর্মীদের প্রতিষ্ঠান ত্যাগের ঘটনায় ক্ষতির সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য ইয়াহু অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান এবং প্রচার, বাইরে নিয়োগ ও নারীভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সংমিশ্রণ ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন মুর।

অন্যান্য প্রধান প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইয়াহুর মত নারী কর্মকর্তাদের এমন নজির প্রতিফলিত হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরেক মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল-এ নারী নেতৃত্বের সংখ্যা ২৮ শতাংশ, যা ২০১৫ সালের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।