স্ক্যানারটি পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই মার্কিন ফেডেরাল কমিউনিকেশন্স কমিশনের কাছে নথি পাঠিয়েছে বস্টনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। ওয়াশিংটন ডিসি-এর ইউনিয়ন স্টেশন, লস অ্যাঞ্জেলেস-এর ইউনিয়ন স্টেশন এবং ডেনভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সিস্টেমটি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে ইভলভ, জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
স্ক্যানারটি তৈরি করতে আগের স্ক্যানারের মতোই তরঙ্গ ব্যবহার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, এখানে পার্থক্য হলো এক মূহুর্তের মধ্যে এটি স্ক্যান সম্পন্ন করতে পারে। এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন স্থানে সিকিউরিটির জন্য স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। প্রথাগত এ স্ক্যানারগুলো ধীর গতির হওয়ায় নতুন প্রযুক্তি এনেছে ইভলভ।
নতুন স্ক্যানার এতটাই দ্রুত যে এখন আর স্ক্যান করতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। স্ক্যান করার সময় সিকিউরিটি গার্ড তার ট্যাবলেটে হয় 'অল-ক্লিয়ার' সংকেত অথবা ঐ ব্যক্তির ছবি দেখতে পাবেন। এখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির যে সকল অঙ্গ সন্দেহজনক সেই অঙ্গগুলোকে চিহ্নিত করে দেখাবে স্ক্যানার।
ইভলভ দাবি করেছে এই স্ক্যানারটি ঘন্টায় ৮০০ ব্যক্তিকে স্ক্যান করতে পারে। আর এই স্ক্যানারে চাবি, মোবাইল এবং কয়েনের মতো ধাতব বস্তুগুলো আলাদা রেখে যাওয়ারও কোনো দরকার নেই।
"এটি দ্রুত গতির হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি অস্বীকার করা যেতে পারে না," বলেন স্যান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটি-র এআই অধ্যাপক অ্যারন এলকিন্স। তিনি আরও বলেন, "যেকোনো জায়গায় আপনি এখন যে মেটাল ডিটেক্টরগুলো দেখেন সেগুলো আপগ্রেড হওয়া দরকার।"
স্ক্যানারগুলোতে মিলিমিটার-তরঙ্গ যথেষ্ট সহায়ক হলেও এটি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। কারণ এটি মানুষের কাপড়ের নিচে তার শরীরের ছবি তুলতে পারে।
এ বিষয়ে ইভলভ-এর প্রধান নির্বাহী মাইকেল এলেনবোগেন বলেন, "আমরা কখনোই এমন কোনো ছবি তৈরি করবোনা যেটি কারো শারীরিক অবয়ব দেখাবে, তাই এখানে কোনো নগ্নতা নেই।"
এই প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটিকে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) সহায়তা দিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। ২০১৫ সালে নিউ জার্সিতে ডিএইচএস-এর ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি ল্যাবরেটরি এবং এফবিআই সদরদপ্তরে স্ক্যানারটি পরীক্ষা করা হয়।