সেই সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির বিষয়টিকে "আমাদের সভ্যতা ও আমাদের প্রজাতির ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ" হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রশংসাও করেছেন এই তত্ত্বীয় পদার্থবিদ।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি-তে লেভেরহালমে সেন্টার ফোর দ্য ফিউচার অফ ইনটেলিজেন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে। এআই গবেষণা নিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে এই প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হকিং এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।
হকিং বলেন, "আমরা ইতিহাস পড়ার জন্য অনেক সময় খরচ করেছি। এটি, সত্যটা স্বীকার করাই ভাল, অনেকটাই নির্বুদ্ধিতার ইতিহাস। তাই, এটি একটি স্বাগত পরিবর্তন যে মানুষ বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে পড়ছে।"
তিনি আরও বলেন, "বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টির সম্ভাব্য উপকারিতা বিশাল। এআই দিয়ে আমাদের মন যখন সম্প্রসারিত হবে তখন আমরা কী অর্জন করব তা আমরা আশা করতে পারি না। সেই সঙ্গে নতুন এই প্রযুক্তি বিপ্লবের যন্ত্রগুলোর সঙ্গে সর্বশেষ বিপ্লব মানে শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের পরিবেশগত দুনিয়ায় হওয়া কিছু ক্ষতি পূরণ করতে সক্ষম হব। আর নিশ্চিতভাবে শেষ পর্যন্ত আমরা রোগ আর দারিদ্র দূর করতে পারবে।"
এআই-এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক বড় বড় প্রযুক্তিবিদ এর আগে নানা মত দিয়েছেন। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলা-এর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করলেও, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ এ ঝুঁকি আমলে নিতে নারাজ।
এ ছাড়াও এআই-এর কারণে কর্মস্থল কমে যাওয়া আর বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।