প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ইমেইল অ্যাকাউন্ট গোপনে স্ক্যান করার অভিযোগ উঠার পর, এমন আহ্বান জানাল ইয়াহু। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সরকারের উচিৎ "ব্যবহারকারীদের ডেটা পেতে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক যে আদেশগুলো দেওয়া হয়" তা প্রকাশ্যে বর্ণনা করা।
সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির 'মেইল স্ক্যানিং' নিয়ে হওয়া সংবাদ প্রতিবেদনগুলো ভুল অর্থ প্রকাশ করছে বলেও দাবি করেছে ইয়াহু, জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমরা আগে যেমনটা বলেছি, সাম্প্রতিক সংবাদ প্রতিবেদনগুলো ভুল অর্থ নির্দেশ করছে, ওই প্রতিবেদনে বর্ণনা করা মেইল স্ক্যানিংয়ের বিষয়টি আমাদের ব্যবস্থায় নেই। এ জন্য আমরা বিশ্বাস করি মার্কিন সরকার এই ক্ষেত্রে তথ্য স্পষ্ট করার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। ইয়াহু আর আমাদের ব্যবহারকারীদের বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে, আমরা অফিস অফ ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স-কে বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে স্পষ্ট করতে অনুরোধ করছি।"
চলতি মাসের শুরুতে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ইয়াহু ২০১৫ সালে একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করেছে যা দিয়ে তথ্য চেয়ে বিশেষ অনুরোধ করা যাবে।
এর বিপরীতে ইয়াহু বলে, "ইয়াহু একটি আইন মেনে চলা প্রতিষ্ঠান, আর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব আইন মেনে চলে।"
এদিকে, গুগল, টুইটার আর ফেইসবুকসহ অন্যান্য ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান চলতি মাসে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরিচালনায় কোনো মেইল স্ক্যান করেনি। আর মাইক্রোসফট-এর দাবি, তারা এমন কোনো কার্যক্রমে "কখনোই যুক্ত হয়নি"।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনে দেশটির গুপ্তচর সংস্থাগুলো যদি কখনও বিশ্বাস করে যে তারা কোনো সন্ত্রাসী আক্রমণ প্রতিহত করতে পারবে, তবে সে জন্য বা অন্য কোনো কারণে তারা গ্রাহকদের ডেটার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আদেশ দিতে পারবে। আর প্রতিষ্ঠানগুলোও ফরেন ইনটেলিজেন্স সার্ভেইল্যান্স কোর্ট-এ রুদ্ধদ্বার অবস্থায় এসব আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।