টেসলা মালিকদের কাছে ফেডারেল মোটর কর্তৃপক্ষের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়, অটোপাইলট ফাংশন সম্পূর্ণভাবে একটি চালক-সহায়ক সিস্টেম আর তাই গাড়ির চালকের একনিষ্ঠ মনোযোগ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় এই গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, জার্মান রাস্তার ট্রাফিক বিধি অনুসারে, এই সিস্টেম ব্যবহারের সময় ড্রাইভারকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে আর গাড়িকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো দক্ষ হতে হবে।
২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে চালু হওয়া টেসলার অটোপাইলটচালিত গাড়ি চালককে পরিচালনা করতে এবং ঠিক লেনে থাকতে সহায়তা করে। তবে, এই ফাংশন কখনই চালকের বিকল্প হতে পারেনা। টেসলা জানিয়েছে, 'অটোপাইলট' এই সিস্টেম মূলত চালক সহায়ক একটি সিস্টেম এবং এটি চালনার জন্য অবশ্যই পুরো সময় ড্রাইভারের মনোযোগ ‘অত্যন্ত প্রয়োজন’।
চলতি বছর ৭ মে, ফ্লোরিডায় এই সিস্টেম ব্যবহারের সময় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে টেসলা মডেল এস-এর একজন চালক মারা যাওয়ার পর টেসলা গাড়ির এই ফাংশন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
জার্মানির পরিবহন মন্ত্রণালয় টেসলার মডেল এস বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর অটোপাইলট ফাংশন পরিচালনার বিষয়ে গবেষণার পদক্ষেপ নিয়েছে। জার্মান সাময়িকী দার স্পিগেল-এর এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে টেসলার এই ফাংশনকে 'উল্লেখযোগ্য ট্রাফিক বিপত্তি' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগেও অটোপাইলট মোডে থাকা অবস্থায় একাধিক টেসলা গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসবের জন্য 'অটোপাইলট' মোডকে দায়ী বলতে নারাজ এই প্রতিষ্ঠান।