২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো উন্মোচন করা হয় হলোলেন্স। এবার অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপের চারটি দেশে উন্মোচন করার কথা রয়েছে এই মিক্সড রিয়ালিটি ডিভাইসটি, জানিয়েছে সিএনবিসি।
ডিজিটাল এবং আসল জগতের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোসফটের হলোলেন্স। ডিভাইসটির জন্য উইন্ডোজ ১০-এর ক্ষমতা দিয়ে 'উইন্ডোজ হলোগ্রাফিক' নামে আরেকটি উইন্ডোজ সংস্করণও উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
'ভার্চুয়াল রিয়ালিটি' প্রযুক্তি থেকে ভিন্ন মাইক্রোসফটের 'মিক্সড রিয়ালিটি'। এই প্রযুক্তিতে হলোলেন্স আসল জগতে হলোগ্রাফিক ছবি নিয়ে আসে আর গ্রাহক নাড়াচড়া করে সেগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে ব্যবহারকারী শুধু একটি ডিজিটাল জগত দেখতে পারে। আর মিক্সড রিয়ালিটিতে বাস্তব জগত এবং ভার্চুয়াল জগতের মিশ্রণে একটি অগমেন্টেড রিয়ালিটি সৃষ্টি হয়।
২০১৬ সালের মাইক্রোসফট বিল্ড ডেভেলপার কনফারেন্সে প্রথমবারের মতো 'হলোলেন্স'-এর কার্যকারিতা প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে দেখানো হয় কি ভাবে হেডসেটটি দিয়ে সহজে গ্রাফিক্সের কাজ করা সম্ভব।
আপাতত ব্যক্তিগত গ্রাহকের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকের জন্যই ডিভাইসটি বেশি কার্যকরী বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। নাসা, অ্যারোস্পস এবং এয়ারবাস-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই তাদের ব্যবসার কাজে হলোলেন্স ব্যবহার করছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহককে লক্ষ্য হিসেবে ধরায় হলোলেন্সের কৌশল বিভাগের প্রধান বেন রিড জানান, শুরুর দিকে প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকের মাধ্যমে হেডসেটটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে।
"প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকেরা ডিভাইসটির জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছে যাতে করে আমরা যখন ব্যক্তিগত গ্রাহকের লক্ষ্যে এগোব তথন একটি এক্সোসিস্টেম তৈরি হবে," বলেন রিড।
তিনি আরও জানান ইতোমধ্যেই ৮০টি তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপার হলোলেন্স অ্যাপ স্টোরের জন্য কাজ করছে।
মাইক্রোসফটের ঘোষণায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জিল্যান্ডের গ্রাহকেরাও এখন হলোলেন্স প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। যুক্তরাজ্যে হেডসেটটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৭১৯ ব্রিটিশ পাউন্ড।