দেশটিতে ফেইসবুক এবং গুগল উভয় সেবাই বন্ধ করে রাখা হলেও সে দেশেই আট হাজার মাইল দীর্ঘ দ্রুত গতির সংযোগ নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠান দুইটি। প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশ দিয়ে কেবলটি লস অ্যাঞ্জেলস এবং হং কং-কে সংযুক্ত করবে, জানিয়েছে সিএনএন।
গোটা চীনে বন্ধ রাখা হলেও চীনের অধীনস্ত হং কংয়ে এখানে গুগল এবং ফেইসবুকের সেবা চালু রয়েছে। আর হং কং-ই এশিয়ার মূল নেটওয়ার্ক হাব হিসেবে কাজ করে।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ডেটা পরিচালনা করে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল। ১৭০ কোটি ফেইসবুক গ্রাহকের পোস্ট করা ভিডিও থেকে সকল নথি জমা হয় গুগল সার্ভারে।
এই বিশাল পরিমাণের ডেটা আদান প্রদানের জন্য টেলিকম প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর না করে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই কাজ করছে। ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফটের সঙ্গে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ দিয়ে বিশাল কেবল লাইন তৈরির কাজ শুরু করছে ফেইসবুক।
২০১৮ সালেই প্রশান্ত মহাসাগরের নতুন কেবল কাজ করা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চালু হলে এটি হবে গুগলের ষষ্ঠ সাবমেরিন কেবল।
নতুন এই কেবল লাইনটির ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষমতা এশিয়া এবং আমেরিকার বর্তমান কেবল লাইনের থেকে বেশি হবে। একই সময়ে আট কোটি উচ্চমানের ভিডিও কনফারেন্স ধারণ করতে পারবে এই কেবল।
লাইনটি তৈরি করতে হং কংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক লাইট ডেটা কমিউনিকেশন-এর সঙ্গে কাজ করছে ফেইসবুক এবং গুগল।
"এটি সন্তোষজনক যে গুগল এবং ফেইসবুকের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সহকারী বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করছে," বলেন প্যাসিফিক লাইট-এর চেয়ারম্যান উয়েই জুনক্যাং।
প্রকল্পটিতে আর্থিক ব্যয়ের তথ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। আর এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ফেইসবুক এবং গুগল।