তুরস্কে বন্ধ অনলাইন ডেটা সংরক্ষণ সাইট

তুরস্কের শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী বেরাত আল বায়রাক এর ইমেইল হ্যাকের কারণে তথ্য ফাঁস ঠেকাতে দেশটিতে সকল প্রকার অনলাইনভিত্তিক ডেটা সংরক্ষণ সাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2016, 03:03 PM
Updated : 11 Oct 2016, 03:03 PM

এর ফলে গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভের মতো জনপ্রিয় অনলাইন ডেটা সংরক্ষণ সাইটগুলো আপাতত ব্যবহার করতে পারছেন না তুরস্কের বাসিন্দারা। এমনকি কোড হোস্টিং সাইট গিটহাবও বন্ধ করে রাখা হয়েছে দেশটিতে।

এটিকে চুরি যাওয়া তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ ঠেকানোর একটি কৌশল বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। বেরাত আল বায়রাক এর ব্যাক্তিগত ইমেইল হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নেয় এক সক্রিয় হ্যাকার দল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অনলাইন ডেটা সংরক্ষণ সাইটগুলো বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে। উল্লেখ্য, আল বায়রাক সম্পর্কে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এরদোগান এর জামাতা।

বামপন্থী ভিন্নমতাবলম্বীদের অতিশীঘ্রই মুক্তি দেওয়া না হলে হাতিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সকলের সামনে উন্মুক্ত করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে রেডহ্যাক নামের হ্যাকার দল। ২০০০ সালের এপ্রিল মাস হতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ হ্যাকার দলটি অন্তত ৫৭,৬২৩টি ইমেইল জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে।

তুরস্কে অনলাইনভিত্তিক ডেটা সংরক্ষণ সাইটগুলো বন্ধের ঘটনা সর্বপ্রথম সামনে আনে তুর্কি ব্লক নামের ডিজিটাল নীতি নির্ধারক দল। যদিও তাদের ভাষ্যমতে ৯ অক্টোবর বিকাল হতে শুধুমাত্র গুগুল ড্রাইভ খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভিপিএন ব্যবহার করেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ করা ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করছেন বলে জানা গেছে। এই দলটি মূলত দেশটিতে ইন্টারনেট সেন্সরশিপের উপর নজরদারী করে থাকে।

মার্কিন দৈনিক দি ডেইলি ডট-এর মতে, হাতিয়ে নেওয়া ইমেইল গুলোতে সম্ভবত অতি স্পর্শকাতর কিছু তথ্য রয়েছে যা থেকে হয়ত প্রমাণ হবে কিভাবে প্রেসিডেন্ট এরদগান ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর উপর অনৈতিক হস্তক্ষেপ করেছেন এবং সরকারপন্থী গণমাধ্যমে নির্বাচিত কিছু সংবাদ নামমাত্র প্রকাশ করিয়েছেন।

ইন্টারনেটভিত্তিক পরিসেবার উপর এ ধরনের হস্তক্ষেপ তুরস্কের ইতিহাসে এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত জুলাইয়ে ক্ষমতাসীন দলের আরও কিছু গোপন ইমেইল ফাঁসের জের ধরে উইকিলিকস এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার। তার আগে মার্চে আঙ্কারায় একটি গাড়িবোমা হামলার ঘটনায় টুইটার ও ফেইসবুকের উপরেও নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে।