বৈদেশিক ব্যবসায়গুলোর উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়া চীনের নীতিমালা পরিবর্তনে জিনপিংয়ের এমন বক্তব্যকে সর্বশেষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে রয়টার্স। 'নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য' নেটওয়ার্কের নামে চীনে প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালা যাচাইয়ে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছে বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমাখাতের এই নীতিমালাকে অস্পষ্ট এবং পক্ষপাতমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে তারা।
বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, এ নীতিমালা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহে অগ্রাধিকার দেবে। এ ছাড়াও বৈদেশিক সংস্থাগুলো সরকার-অনুমোদিত অসঙ্গতিপূর্ণ দুর্বল নিরাপত্তার প্রযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
অন্যদিকে, চীনা কর্মকর্তারা বলছেন, নীতিমালা নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভয় পাওয়ার কিছু নেই এবং দেশের সন্ত্রাসবাদ থেকে হ্যাকিং, সব বাস্তব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে।
ইন্টারনেট উন্নয়নবিষয়ক এক বৈঠকে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শি বলেন, “(চীনে) দেশিয় উৎপাদিত এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিকল্প পরিকল্পনার অগ্রগতি ও নিরাপদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে হবে।”
শি-কে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শিনহুয়া জানিয়েছে, “যদিও চীনের ইন্টারনেট প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি বড় সাফল্য অর্জন করেছে, তবে এখনও পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর তুলনা করলে অনেক বড় ব্যবধান আছে।”
বেইজিংয়ের 'নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য' প্রযুক্তি নীতিমালা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া উদ্বেগ চীন ও তার বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিদ্বেষপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক তৈরি করেছে। এ ছাড়াও চীন ইন্টারনেট প্লাস এবং মেইড ইন চায়না ২০২৫ প্রকল্পের উপর জোর দিয়েছে। চীনের সংস্থাগুলোকে পৃথিবীর প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের যোগ্য হিসেবে তৈরি এবং রোবোটিকস ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে ঘরোয়া পণ্য তৈরি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।