হাঙর নজরদারিতে ড্রোন

হাঙরের কার্যক্রম আর সম্ভাব্য বিপজ্জনক স্থানগুলো চিহ্নিত করতে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রতীরে পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাসের ড্রোন নজরদারি চালু করা হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2016, 02:19 PM
Updated : 10 Oct 2016, 02:24 PM

ছোট একটি ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য এই কার্যক্রমে ৮৮ হাজার ডলার দেওয়া হবে। এই ড্রোনের সঙ্গে একটি হাই-ডেফিনেশন ক্যামেরা যোগ করা হয়েছে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণকৃত ছবি সার্ফ লাইফ সেভিং ডব্লিউএ নামের সংস্থার অপারেটরদের কাছে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এই সংস্থা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে আগতদের নিরাপত্তা ও জরুরী উদ্ধার সেবা দিতে কাজ করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার মৎস্যমন্ত্রী জো ফ্রান্সিস জানান, এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হাঙরের ঝুঁকি প্রশমনে দেশটির সরকারের ৩.৩০ কোটি ডলার মূল্যের প্রকল্পের একটি অংশ। তিনি বলেন, "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ড্রোন প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে আর আমাদের সমুদ্রসৈকতে এর ব্যবহার কতটা কার্যকরী হবে তা পরীক্ষা করা উচিৎ বলেই মনে হয়। বর্তমানে হেলিকপ্টার আর বিচ পেট্রলদের সৈকত নজরদারি ব্যবস্থায় আকাশ প্রযুক্তির এই চোখ বাড়তি সুবিধা যোগ করতে পারে কিনা তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।"

চলতি বছর নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই পরীক্ষা চালানো হবে। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল যাচাইয়ের উপর ভবিষ্যৎ অর্থ যোগান নির্ভর করবে।

শেষ শত বছরে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় হাঙরের কারণে ২৩টি মৃত্যুর কারণ ঘটেছে আর এর মধ্যে ১৪টি মৃত্যুই ২০০০ সালের পর ঘটেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। এমন সর্বশেষ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটিতে চলতি বছর ৩১ মে বেন গেরিং নামের ২৯ বছর বয়সী এক সার্ফার নিহত হন। ৫ জুন নিহত হন ৬০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অ্যান কলিয়ার।