সন্ত্রাসী হামলা সন্ধানেই ইয়াহুর নজরদারী

সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে জড়িত এমন গ্রাহকের মেইল স্ক্যান করেছে ইয়াহু, নতুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2016, 02:37 PM
Updated : 7 Oct 2016, 02:37 PM

নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহজনক বার্তাগুলো এফবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বর্তমানে মেইল স্ক্যান করা বন্ধ রেখেছে ইয়াহু।

ইয়াহুর একটি স্প্যাম এবং শিশু নির্যাতনের ছবি খোঁজার ফিল্টার ব্যবহার করে মেইল স্ক্যান করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩ অক্টোবর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সরকারের জন্য গোপনে লাখো গ্রাহকের মেইলে নজরদারী করে আসছে ইয়াহু। নজরদারী করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করেছে বলেও জানানো হয়।

রয়টার্সের এমন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটিকে 'বিভ্রান্তিকর' বলে মন্তব্য করে ইয়াহু। প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলা হলেও প্রতিষ্ঠানটি এমন কোনো নজরদারী করেছে কি না, সেটি অবশ্য স্পষ্টভাবে জানায়নি।

ইয়াহুর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, "প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর। আমরা গ্রাহকের তথ্য যতটা সম্ভব ক্ষুদ্র পরিসরে উন্মুক্ত করতে সকল সরকারি অনুরোধ সংকীর্ণভাবে ব্যাখ্যা করি। প্রতিবেদনে যেমন মেইল স্ক্যানের কথা বলা হয়েছে সেটি আমাদের সিস্টেমে নেই।"

 ধারণা করা হয়েছিল ইয়াহু মেইলে নজরদারী করতে এফবিআই অথবা এনএসএ-এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুইজন মার্কিন সরকারী কর্মকর্তা এবং ইয়াহুর সঙ্গে জড়িত একজন তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পরই নতুন প্রতিবেদন দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে জানানো হয়, এফবিআই তদন্তকারীরা জানতে পারে বিদেশি সন্ত্রাসীরা ইয়াহু মেইল সার্ভিস ব্যবহার করে আসছে।

তদন্তকারী সংস্থাটি সন্ত্রাসী দলটির "অন্ত্যন্ত বিরল সাক্ষর" খুঁজে বের করতে পারলেও জানতে পারেনি তারা কোন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছিল। সে কারণেই ইয়াহুর সহায়তা চেয়েছিল এফবিআই। আর এতে একজন মার্কিন বিচরকেরও অনুমতি ছিল।