দেখা গেছে ১০ বছর বয়সী ৫১ শতাংশ শিশুর নিজের ট্যাবলেট এবং ৩৩ শতাংশের স্মার্টফোন রয়েছে। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ শিশু এমন যারা বিশ্বাস করে তারা অনলাইনে কি করছে, সেটি মা-বাবার কাছ থেকে লুকানোর মতো জ্ঞান এবং দক্ষতা তাদের রয়েছে।
১৩ বছর বয়স থেকে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। ক্যাসপারস্কি আরও জানায় ১০ শতাংশ শিশু তারা অনলাইনে কি করছে সেটি নিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে না।
জরিপে আরও দেখা গেছে যে সকল শিশুর উপর ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ম করে রাখা হয়েছে তার ২৭ শতাংশ বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
শিশুদের গোপনে ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলে ৪২ শতাংশ শিশু বাজে ভাষা এবং ২৮ শতাংশ হিংস্রতা শিখছে। এ ছাড়াও ১১ শতাংশ শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে।
ক্যাসপারস্কি ল্যাবের প্রধান নিরাপত্তা গবেষক ডেভিড এম বলেন, "সত্যিকার অর্থে প্রথম ডিজিটাল প্রজন্ম হিসেবে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের অন্ধকার দিকটাও প্রবেশ করাটা প্রচণ্ড সহজ।"
১০ বছর বয়সী শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন ডিভাইস ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। কিন্তু মা-বাবা তাদের এই বিষয়টি উপেক্ষা করেন, যেটি তাদেরকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়।
"আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে ১০ বছর বয়সী পাঁচজন শিশুর একজন অনলাইনের কারো দ্বারা মর্মাহত হলে তার সম্পর্কে নোংরা কিছু পোস্ট করতে দুবার চিন্তা করে না," বলে এম।
শিশুদেরকে অনলাইন থেকে সুরক্ষিত রাখতে মা-বাবাকে আগে থেকেই তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।