প্রথম বছর ৪০০০ জন আবেদন করতে পারলেও মাত্র ২০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে ভর্তির হার পাঁচ শতাংশ। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড-এর মতো অভিজাত কলেজগুলোতেও এই একই ভর্তির হার দেখা যায়। আগামী বছর ৪০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে নতুন এই অ্যাপল ডেভেলপার সেন্টারটির, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার।
শিক্ষার্থীর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে দক্ষতা বাড়াতে নয় মাসব্যাপী কোর্সের ব্যবস্থা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপল এই প্রতিষ্ঠানটিতে এতটাই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যে এটির লাইটিং এবং দেওয়ালের রং নিয়েও নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
প্রতিষ্ঠানের বৃহদাকার উন্মুক্ত শ্রেণিকক্ষও ডিজাইন করেছে অ্যাপল। ডিজাইন নিয়ে অ্যাংরিসানি বলেন, "শিক্ষামূলক মডেলটি একদমই নতুন।"
শ্রেণিকক্ষে টেবিল ঘিরে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী বসবে। প্রতিজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাদাভাবে শিক্ষকের যোগাযোগের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও সবগুলো কোর্স ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইতালিয়ান সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর অল্প সময় পরই এ বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সেন্টারটির ঘোষণা দেয় অ্যাপল। ব্রাজিল, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতেও একই ধরনের ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
ক্যাম্পাসের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি বলে জানানো হয়েছে। ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের জন্য ইউনিভার্সিটি অফ নেপোলি ফেডেরিকো-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে রয়েছে অ্যাপল। সেন্টারের কার্যক্রম চলবে অ্যাপলের অর্থায়নে।