মেইলে নজরদারী করেছে ইয়াহু

মার্কিন সরকারের পক্ষে লাখো গ্রাহকের মেইলে গোপনে নজরদারী করে আসছে ইয়াহু, এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে এক প্রতিবেদনে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2016, 09:51 AM
Updated : 5 Oct 2016, 09:51 AM

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় "গোপন অনুরোধের" ভিত্তিতে ২০১৫ সালে বিশেষ একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সফটওয়্যার দিয়েই সরকারের জন্য গোপনভাবে গ্রাহকের মেইলে ইয়াহু নজরদারী করছে বলে জানানো হয়।

হ্যাকাররা ইয়াহুর বহু গ্রাহকের তথ্য চুরি করে নিয়েছে, সম্প্রতি এমন দাবি জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এই ঘটনার ঠিক পরেই মেইলে তাদের নজরদারীর খবরটি সামনে আসে।

বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইয়াহু অবশ্য বলেছে, "ইয়াহু আইন মেনে চলা একটি প্রতিষ্ঠান এবং মার্কিন আইন মেনে চলে।"

রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএসএ অথবা এফবিআই-এর অনুরোধেই নজরদারী করছে ইয়াহু। তিনটি বিশ্বত সূত্রের কাছে থেকে এই খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন ইয়াহুর সাবেক কর্মী।

ইয়াহুর তৈরি বিশেষ সফটওয়্যারটি গ্রাহকের কাছে আসা সকল মেইল স্ক্যান করে দেখে থাকে। তবে, এটি বলা মুশকিল স্ক্যানের তথ্য কারো কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে কি না অথবা অন্য কোনো ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একই ধরনের অনুরোধ পেয়েছে কি-না?

গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদেরকে এমন ধরনের নজরদারীর জন্য কোনো অনুরোধ করা হয়নি।

"আমরা কখনও এমন অনুরোধ পাইনি। কিন্তু যদি পেয়ে থাকি, আমাদের উত্তর হবে সাধারণ: 'কোনো সুযোগ নেই'।"

ফেইসবুক জানায়, "কোনো সরকারের পক্ষ থেকেই আমরা প্রতিবেদনে যেমনটা বলা হয়েছে তেমন কোনো অনুরোধ পাইনি এবং আমরা যদি পাই আমরা এটির মোকাবেলা করবো।"

মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকেও একই ধরনের উত্তর পাওয়া যায়, "আমরা কখনোই ইমেইল ট্রাফিকে গোপন নজর দারী করিনি।"

আর টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমারা কখনোই এমন ধরনের অনুরোধ পাইনি এবং যদি পাই আমরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারি।"

মার্কিন সরকারের আইন অনুযায়ী দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে গ্রাহকের তথ্য পেতে নির্দেশ দিতে পারে। তবে, প্রতিষ্ঠানগুলো এ সকল নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে।

৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারে ইয়াহুর ব্যবসা কিনে নিচ্ছে ভেরাইজন। ইয়াহুর এমন খবরে কোনো মন্তব্য করা হয়নি ভেরাইজনের পক্ষ থেকে।