চলতি বছর এপ্রিলে ইইউ'র অভিযোগের বিবৃতিতে বলা হয়, গুগল সার্চসহ গুগলের প্লে স্টোর আগে থেকে ইনস্টল করতে মোবাইল ফোন নির্মাতাদের কোনো অর্থ পরিশোধ বা ছাড় দেওয়া বন্ধ করতে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট-কে আদেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
গুগল কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোনো শর্ত না মানার জন্য "শাস্তি বা হুমকি দিতে পারে না"- ওই নথিতে এমনটাই লেখা ছিল বলে নিশ্চিত করে রয়টার্স।
সার্চ ইঞ্জিন বাজারের আধিপত্য বিস্তার করা কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য অসুবিধায় না পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সমর্থন পাওয়া লবি গ্রুপ ফেয়ারসার্চ ২০১৩ সালের মার্সে গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। বাজারে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করা ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক আচরণে’র জন্য গুগল বড় অংকের জরিমানার মুখেও পড়তে পারে বলে ওই নথিতে জানানো হয়েছে। এতে বলে হয়, "কমিশন এমন মাত্রায় জরিমানা নির্ধারণ করতে চাচ্ছে, যার ফলে এই কাজ বন্ধ করা নিশ্চিত করা যাবে।"
এই জরিমানার অংক ইউরোপিয়ান ব্যবহারকারীদের অ্যাডওয়ার্ডস ক্লিক, গুগল সার্চে পণ্য সন্ধান, প্লে স্টোর অ্যাপ পারচেইজ আর অ্যাডমব-এর অ্যাপভিত্তিক বিজ্ঞাপন থেকে হওয়া আয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হতে পারে।
এর আগে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে জবাব দিতে গুগলকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। শেষবার গুগলের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ নিয়ে তিনবার প্রতিষ্ঠানটি অনুরোধের মাধ্যমে জবাবের সময়সীমা বাড়াল।
ইউরোপিয়ান কমিশন-এর মুখপাত্র রিকার্ডো কারদোসো এক ইমেইলে রয়টার্স-কে বলেন, "প্রতিটি মামলায়, গুগল তাদের মামলার নথি যাচাইয়ে বাড়তি সময় চেয়েছে। সাধারণ অনুশীলনের সঙ্গে কমিশন এই অনুরোধের কারণও বিশ্লেষণা করেছে ও গুগলকে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনে পূর্ণ অধিকার দিতে সময় বাড়িয়েছে।"
ইইউ'র আইন ভঙ্গের অপরাধ প্রমাণিত হলে, প্রতিটি মামলায় গুগলকে ৭৪০ কোটি ডলার বা তাদের বৈশ্বিক আয়ের ১০ শতাংশ জরিমানা গুণতে হতে পারে।