ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ফোনে এক সাক্ষাৎকারে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ করদাতা বিভাগের প্রধান মুহম্মদ হানিভ জানান, কর কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহে কেন্দ্রীয় জাকার্তার গুগল কার্যালয় শেষ দুই সপ্তাহে "বহুবার" পরিদর্শন করেন আর প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বার বার বৈঠক করেন।
অন্যদিকে, এক ই-মেইলে গুগলে মুখপাত্র তাজ মিডোজ বলেন, "গুগল ইন্দোনেশিয়ায় প্রযোজ্য সব কর পরিশোধ করেছে।" সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সরকারকে সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।
হানিভ বলেন, "সবারই মেনে চলতে হবে, তারা যেই হোক না কেন। আপনি যদি হিসাব করতে প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আমরা আপনার পেছন ছুটতেই থাকব।" কর হিসাব করতে না দেওয়ায় এর আগে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করেছে দেশটির সরকার, এর ফলে গুগল অপরাধের শাস্তি পেতে পারে বলেও জানান তিনি।
কর ফাঁকি দিচ্ছে এমন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবইসাইটগুলো ইন্দোনেশিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
করবিষয়ক উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়া ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছর এপ্রিল থেকে স্থায়ী স্থানীয় অস্তিত্ব তৈরির তাগাদা দিচ্ছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো'র সরকার ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আরও রাজস্ব উঠানোর উদ্দেশ্যে গুগলকে আরও কর পরিশোধে চাপ দিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-কে অনুসরণ করছে।