হ্যাকিংয়ে দোষী সিরিয়ান নাগরিক

হ্যাকিংয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের দায়ে এক সিরিয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির আদালত, জানিয়েছে বিবিসি।  ক্ষতিগ্রস্থদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সিরিয়ান ইলেক্ট্রনিক আর্মি (এসইএ)-কে সাহায্য করতেন ওই ব্যক্তি।

রিয়াদ মোর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2016, 08:10 AM
Updated : 2 Oct 2016, 08:10 AM

আদালতের প্রকাশিত নথিতে জানানো হয় যে, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলা চালাবার জন্য পিটার রোমার নামের ব্যক্তি এসইএ-কে  সাহায্যের প্রস্তাব করেন। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা তথ্যগুলো ফেরত দিতে পিটার জোর করে অর্থ আদায়ের জন্যও এসইএ-কে সহায়তা করতেন।

এই অপরাধের জন্য সবোর্চ্চ পাঁচ বছরের কারাবাসের শাস্তি পেতে পারেন পিটার রোমার।

সাইবার অপরাধীরা বিচার থেকে লুকাতে পারবে না,” বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট এর অ্যাটর্নি ডানা বোয়েন্টে।

আদালতের বিশ্বাস রোমার জার্মানি থেকে এসইএ-এর অর্থ আদায় এবং হ্যাকিং প্রচারণার একজন সহযোগী হয়ে কাজ করছিলেন। রোমার সিরিয়া থেকে জার্মানিতে যাওয়ার পরই তিনি এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হন। জার্মানিতে তার অবস্থান গোপনভাবে এসইএ-কে অর্থ আদায়ে সাহায্য করে, কেননা সিরিয়ায় চলা যুদ্ধের কারণে দেশটিতে সবধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ। এ কারণেই এই সিরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি কোনো মার্কিন ক্ষতিগ্রস্থের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ আদায় করতে পারেনি।

এফবিআই এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সকল অর্থ এসইএ নিয়ে যেতে পারেনি, এবং তারা এটিও যোগ করে এসইএ নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য এই অপরাধ করছে।

ফিরাস দারদার নামের এসইএ-এর অভ্যন্তরীন কর্মীর সঙ্গে কাজ করতেন রোমার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি এখন সিরিয়া সিটি অফ হোম-এ অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে এফবিআই এর মোস্ট ওয়ান্টেড সাইবার অপরাধীর তালিকায় ছিলেন এসইএ হ্যাকার আমাদ ওমর । তিনিও এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত মনে করছে এফবিআই। তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যদাতাদের জন্য এফবিআই ১ লাখ ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।

আগামী ২১ অক্টোবর পিটার রোমারের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।