স্যামসাংয়ের ‘বৈষ্যমের শিকার’ চীন: সিসিটিভি

বিশ্বব্যাপী গ্যালাক্সি নোট ৭ হ্যান্ডসেটের ব্যাটারি বদলে দিতে ডিভাইস ফেরত চাইলেও, চীনে এমন কিছু করেনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। আর এ কারণে চীনা ভোক্তাদের সঙ্গে "বৈষম্য" করা হয়েছে দাবি করে দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটির এক হাত নিয়েছে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2016, 10:05 AM
Updated : 1 Oct 2016, 10:06 AM

এ খবর প্রকাশের আগের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলে, ২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ২৫ লাখ ফোন ফেরত চাওয়ার পর থেকে চীনের প্রতি স্যামসাংয়ের আচরণ "দাম্ভিকতা পূর্ণ" ছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে স্যামসাং একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছে, সেই সঙ্গে তাদেরকে ফোন বদলাতে বিভিন্ন সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু চীনে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করেছে বলেও জানায় সিসিটিভি, দেশটিতে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতির মাধ্যমে সেখানকার অধিকাংশ ফোনই বদলানো লাগবে না বলে জানায় স্যামসাং। সিসিটিভি বলে, "স্যামসাংয়ের এই বৈষম্য চীনা গ্রাহকদের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।" 

সিসিটিভি'র এমন সমালোচনায় তাৎক্ষণিকভাবে স্যামসাং চায়না কোনো জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন বাজারটিতে স্যামসাং যখন তাদের অবস্থান শক্ত করতে চাচ্ছে, ঠিক এমন সময় সিসিটিভির এই সমালোচনা প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চীনে এক সময় মোবাইল ফোন বিক্রিতে এক নম্বরে থাকলেও, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে, শিয়াওমি, আর অপ্পো'র মতো দেশটির স্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের তোপের মুখে শীর্ষ পাঁচ থেকে ছিটকে পড়ে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিসিটিভির সমালোচনার মুখে পড়ার পর বিশ্বের কয়েকটি নামিদামী প্রতিষ্ঠান চীনে তাদের অবস্থান হারিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় অটোমোবাইল নির্মাতা জার্মান প্রতিষ্ঠান ফোকসভাগেন থেকে শুরু করে স্যামসাংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলও রয়েছে।