সংস্থাটি এজন্য উপযুক্ত বিনিয়োগেরও আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউরোপোল তাদের সাইবার অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অপরাধীরা এখন এনক্রিপ্ট টুলের আশ্রয় নিচ্ছে, যা তাদের পরিচয় লুকিয়ে অপরাধ করতে সহায়তা করছে।
বর্তমানে অনলাইনে লাখ লাখ শিশু 'নিজেদের অজান্তেই' হয়রানির শিকার হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউরোপে সাইবার অপরাধ দিন দিন বেড়ে চলেছে। ইউরোপোল শিশু যৌনবিষয়ক অপরাধীদের নিজেদের মধ্যে ইন্টারনেটে যোগাযোগ, ক্ষতিকর কনটেন্ট শেয়ার ও সংরক্ষণের বিষয়টিকে 'ইন্টারনেটের সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং জঘন্য দিক' বলে উল্লেখ করেছে।
অপরাধীরা মূলত সামাজিক নেটওয়ার্ক, অনলাইন গেইম এবং শিশুদের ব্যবহৃত ফোরামগুলো শিশুদেরকে লক্ষ্য করতে ব্যবহার করছে। এসবের মাধ্যমে তারা শিশুদেরকে তাদের এনক্রিপটেড প্লাটফর্মে চ্যাট, ভিডিও আর ফটো শেয়ারিংয়ে উদ্বুদ্ধ করছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া লাইভ স্ট্রিমিং 'একটি ক্রমবর্ধমান হুমকি' বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়ে, "প্রথাগতভাবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে ফিলিপিন্স-এর দূরবর্তী শিশুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এখন তা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে।"
"উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য, অপেক্ষাকৃত নিরাপত্তাহীন পরিবেশে বেড়ে উঠা শিশুরাই যৌন অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।"
প্রতিবেদনে শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি বাবা-মাকে সচেতন হতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে 'মানব এবং আইটি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থদের চিহ্নিত করতে উন্নত সুযোগ সৃষ্টি করার' আহ্বান জানানো হয় এতে।