ব্ল্যাকবেরির পক্ষ থেকে জানানো হয় নতুন স্মার্টফোন তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ান প্রতিষ্ঠান 'বিবি মেরাহ পুতি'-এর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। 'ব্ল্যাকবেরি' নাম দিয়ে দেশটিতে নতুন স্মার্টফোন তৈরি বাজারজাত এবং প্রচার করবে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াকে ব্ল্যাকবেরির সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় একই ধরনের চুক্তি করতে চীনেও শেষ পর্যায়ের আলোচনা চলছে। আর ভারতেও এ ধরনের চুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ব্ল্যাকবেরি প্রধান জন চেন বলেন, "আমরা যেটা করেছি, আমরা সম্পূর্ণ চেইনটি ভেঙ্গে দিয়েছে এবং আমি রয়ালটি নেব। আমি এখনও হ্যান্ডসেট ব্যবসায় রয়েছি কিন্তু আমি একটি লাভজনক উপায়ে রয়েছি।"
চেন আরও জানান প্রতিষ্ঠানের নতুন এই উদ্যোগে ১০০ এর মত চাকরি কমে যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির এমন সিদ্ধান্তে ব্ল্যাকবেরির শেয়ার বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। এ বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্ল্যাকবেরি'র মোট আয় হয় ৩৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, যদিও বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছিল ৩৯ কোটি ডলার। সফটওয়্যার খাতে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় ১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা একই সময়ে ২০১৫ সালে হওয়া আয়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু এর আগের প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি এই খাতে ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় করলেও, এবার তা অনেক কমে গেছে।
অর্থ হারাতে থাকা ডিভাইস ব্যবসায়ের জন্য চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসকে ডেডলাইন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী জন চেন। আর তার এই কথার কারণেই এতদিন দম চেপে বসে ছিলেন বাজার বিশ্লেষকরা।
আইডিসি এর প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্লেষক জন জ্যাকসন বলেন, "এটি সম্পূর্ণরূপে একটি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত এবং সম্ভবত একটি বিলম্বিত সিদ্ধান্ত।"
দ্বিতীয় প্রান্তিকে সফটওয়্যার এবং সার্ভিসে ব্ল্যাকবেরির আয় ১৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। আর ডিভাইস ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটির আয় হিসাব করা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।