২০১৪ সালে ঘটা এই হ্যাকে অর্ধশত কোটি গ্রাহকের তথ্য ফাঁসের এই খবর সম্পর্কে চলতি বছর জুলাইয়েই জানতে পারেন ইয়াহু প্রধান মারিসা মায়ার, কিন্তু তিনি এ খবর প্রকাশ করতে বিলম্ব করেন বলে ওই চিঠিতে জানান ওয়ার্নার। ভার্জিনিয়া'র ডেমোক্রেট দলের সিনেটর ও সিনেট সাইবারসিকিউরিটি ককাস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওয়ার্নার প্রশ্ন তোলেন ইয়াহু সঠিক সময়ে ভেরাইজন-কে এই তথ্য দিতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে। চলতি বছর ইয়াহু'র মূল ব্যবসায় কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ভেরাইজন।
২৬ সেপ্টেম্বর তারিখ দেওয়া ওই চিঠিতে ওয়ার্নার বলেন, "জনগণের জানা উচিৎ ইয়াহু'র শীর্ষ কর্মকর্তারা এই লঙ্ঘন সম্পর্কে কী জানেন আর তারা কবে তা জানতে পেরেছেন।"
এসইসি ওয়ার্নার-এর চিঠি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইয়াহু'কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও, তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
ইতিহাসের অন্যতম বড় সাইবার লঙ্ঘনের ঘটনায় ইয়াহু ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের খবরের পর বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার অনেক ইয়াহু ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ অথবা পাসওয়ার্ড বদলে দিয়েছেন।
ইয়াহু লঙ্ঘনের মাত্রা, আর ব্যবহারকারীরা প্রায়ই তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করায় ও অনেক সার্ভিসের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তরের ব্যবস্থা থাকায়, ইন্টারনেটে এই হ্যাকের প্রভাব প্রতিহত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
অনেক ব্যবহারকারী তাদের লগইন তথ্য বদলাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এক্ষেত্রে শুধু ইয়াহু-ই মাথাব্যথা নয়, অনেকেই একাধিক ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। এর ফলে অনেকেরই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট লঙ্ঘন হতে পারে।